নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। ক্ষমা করে দিয়েছেন তাঁকে নিগ্রহে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে। তবে মায়ের আর্তির আগেই ওই ছাত্রকে ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন বাবুল সুপ্রিয়। বললেন, দলের কর্মীরা এফআইআর করতে বলেছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এফআইআর করব না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়র নিগ্রহে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত মা ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আর্তি করেছেন। ওই আর্তিতে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে বাবুল সুপ্রিয় জানান,''চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি কোনও ক্ষতি করবো না আপনার ছেলের। কোনও এফআইআর করিনি। কাউকে করতেও দিইনি।'' বাবুলের এহেন সিদ্ধান্ত প্রশংসা কুড়োচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু বাবুল জানালেন, দেবাঞ্জনের মা আবেদন না করলেও এফআইআর করতেন না। আসানসোলের সাংসদ বলেন,''দেখুন আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দলের সহকর্মীরা এফআইআর করতে বলেছিল। খসড়াও চলে এসেছিল। আমি আগেই ভেবেছিলাম কোনও এফআইআর করব না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছি। বাচ্চা ছেলে ওর বিরুদ্ধে এফআইআর করে ব্যবস্থা নিয়ে কী করব?



বাবুল সুপ্রিয়র কথায়, ''ও যাতে নিজের ভুলটা বুঝতে পারে, সেটাই চাই। মতাদর্শ আলাদা থাক না। ব্যবহারটা ঠিক নয়। মায়ের কথাটা মনে রাখা দরকার। ওনার মায়ের কান্নাকাটি দেখে মনে হয়েছিল ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দেওয়া উচিত।''


দেবাঞ্জনকে ক্ষমা করা নিয়ে দলের কী মনোভাব? নেতারা তাঁর সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছেন বলে দাবি সাংসদের। দিলীপ ঘোষ হাত ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দলের কর্মীদের কি পাল্টা হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন? বাবুল বলেন, ''দিলীপ দার সঙ্গে দেখা হয়েছে। রাজ্য সভাপতি হিসেবে অন্যরকম দায়িত্ব আছে। উনি যেটা বলেছেন কাটাছেঁড়া করলে অনেক মানে বেরায়। দলের প্রধান হিসেবে ছেলেটিকে খুঁজে বের করব। আমি টুইট করেছিলাম, মানসিক চিকিত্সা দরকার। ফেসবুকে নানা ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও না কোথাও বোঝাতে হবে, এটা ঠিক নয়। দলের ছেলেদের গুন্ডামিতে প্ররোচনা দিচ্ছি না।'' প্রসঙ্গত, ফেসবুক পেজে বাবুলের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন দেবাঞ্জন। লিখেছেন, নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।   


আরও পড়ুন- "নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে", যাদবপুর কাণ্ডে বাবুলকে হেনস্থার জন্য ক্ষমা চাইলেন দেবাঞ্জন