ওয়েব ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের চূড়ান্ত গাফিলতি। কলমের খোঁচায় সদ্যোজাত মেয়ে হয়ে গেল ছেলে। তা হলে কী হবে সেই সন্তানের পরিচয়? দেড় বছর ধরে দরজা দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অসহায়  মা বাবা। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা বিনয় আর পুষ্প বিশ্বাস। ২০১৪ সালে বারাসত গভর্মেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন সন্তানসম্ভবা পুষ্প। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। ৬ অগাস্ট হাসপাতালের ওটিতে নিয়ে যাওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দেন পুষ্প। ওয়ার্ডে সেই সময় ছিলেন না কোনও নার্স বা চিকিত্সক। পুষ্পর দাবি, তিনি দেখেন মেয়ে হয়েছে তাঁর। অসুস্থ থাকায় সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটিকে পাঠানো হয় নিকুতে। দিন তিনেক পর মেয়ে কোলে বাড়ি ফিরে যান পুষ্প। হাসপাতালের ডিসচার্জ সামারি খতিয়ে দেখেননি তিনি বা তার স্বামী বিনয় কেউই। গোলমালটা প্রথম নজরে আসে মেয়ের বার্থ সার্টিফিকেট করতে গিয়ে। পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয় হাসপাতালের ডিসচার্জ সামারি বলছে মেয়ে নয় ছেলে হয়েছিল বিনয় আর পুষ্প বিশ্বাসের!


ডিসচার্জ সামারি খতিয়ে দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বিশ্বাস দম্পতির! আরজিকর হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁরা। কথা বলেন সুপারের সঙ্গে। তখন হাসপাতাল বলে মেয়ে নয়, ছেলেই হয়েছিল পুষ্প বিশ্বাসের। এখন অন্য কোনও স্বার্থে এমন দাবি করছেন তাঁরা। হাসপাতালের এমন দাবি মানতে চায়নি বিশ্বাস পরিবার। শেষে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁদের কাছে ১০ মাস সময় চায় তত্কালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয় বিশ্বাস পরিবারকে। বলা হয় প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁদের। মাসের পর মাসে কেটে গেলেও, সমস্যার সমাধান হয়নি। গত জুনে ফের হাসপাতালের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এবার কর্তৃপক্ষ বলে, আদালতের অনুমতি ছাড়া DNA পরীক্ষা সম্ভব নয়। কেটে গিয়েছে দেড় বছর। মেয়ের সঠিক পরিচয়ের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরছেন এই দম্পতি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখন বলছে বিশ্বাস দম্পতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।