নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সন্দেহে এগিয়ে এলেন না কেউই। এমনকি সম্পর্কে দেওরের চোখের সামনে টানা ৬ ঘণ্টা পড়ে রইলেন সত্তর বছরের বৃদ্ধা। রবিবার বাগবাজারের বৃন্দাবন পাল লেনের ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনাকে হাতিয়ার করেই সচিন 'বধের' কৌশল! আস্থা ভোটে না গিয়ে 'মাস্টারস্ট্রোক' গেহলটের


বৃদ্ধা ওই মহিলার নাম ছায়া চট্টোপাধ্যায়। স্বামী মারা গিয়েছেন অনেকদিন আগেই। রবিবার প্রতিবেশীরা দেখেন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ছায়া দেবী। সকাল নটা থেকে তাঁকে বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখলেও করোনার ভয়ে কেউই এগিয়ে এলেন না। এভাবেই তিনি পড়ে থাকেন প্রায় ৬ ঘণ্টা। শেষপর্যন্ত প্রতিবেশীরা পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ নিয়ে যায়।


বৃদ্ধার ঘরের পাশেই থাকেন তাঁর দেওর। তিনিও ছায়া দেবীর চিকিত্সার কোনও ব্যবস্থা করেননি। তাঁর বক্তব্য, আমি একলা মানুষ কী করব!


আরও পড়ুন-দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত জলপাইগুড়ির এক স্বাস্থ্যকর্মী, কেন এমনটা হলো? ধন্দে চিকিত্সকরা


প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ছায়া দেবী। তাঁর পায়ে একটি সংক্রমণ ছিল। সেটা থেকেই সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাড়ার এক চিকিত্সককে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। বাধ্য হয়েই পুলিসে খবর দিতে হয়। বিকেল তিনটে নাগাদ পুলিস এসে বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যায়। ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।