নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের মালিক ও সিইও-র বিরুদ্ধে মামলা করল দমকল। শনিবার রাতে বাগরি মার্কেটে আগুন লাগার পর রবিবার সকাল থেকে বেপাত্তা মার্কেটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাধা বাগরি ও সিইও কাল্লু কোঠারি। কোথায় রয়েছেন তাঁরা, হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিস। ওদিকে বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখানে শহরের বাজারগুলিতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাতে বাগরি মার্কেটে আগুন লাগে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও ধিকি ধিকি জ্বলেছে সেই আগুন। আগুন নেভানোর কাজ তদারকি করতে সোমবার রাতভর সেখানে হাজির ছিলেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাগরি মার্কেট নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কলকাতা পুরসভা। সেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর প্রতিনিধি ও আধিকারিকরা। 


এদিন মেয়র জানান, কলকাতার বাজারগুলির বাইরে ও ভিতরে জবরদখল হঠাতে হবে। প্রত্যেক দোকানদারকে যাবতীয় সরঞ্জাম রাখতে হবে শাটারের ভিতরে। শাটারের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। ক্রেটা টানার জন্য ঝুলিয়েও রাখা যাবে না পণ্যসামগ্রী। 


বাড়িতে ঝুলছে তালা, বেপাত্তা বাগরি মার্কেটের মালিক ও সিইও


একই সঙ্গে বাজারের সামনেও রাখা যবে না ডালা। যাবতীয় পণ্য রাখতে হবে দোকানে নয় গুদামে। মেয়র জানিয়েছেন, প্রথমে পুর বাজারগুলিতে কার্যকর হবে এই বিধি। বেসরকারি বাজারগুলিতেও এই বিধি কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করা হবে। অনুরোধে কাজ না হলে জবরদখল ভেঙে ফেলবে পুরসভা।


ওদিকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাগরি মার্কেটের একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। যার জেরে যে কোনও সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে বাগরি মার্কেটের ভবনটির ভবিষ্যত্ কী তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। মেয়র বলেন, এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগুন পুরোপুরি নিভলে পরীক্ষানিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।