সৌমেন ভট্টাচার্য: বাগুইআটিতে অপহৃত ও পরে খুন হয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের একজন অন্তত ড্রাগ নিত। শনিবার দমদমের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তৃণমূল সাংসদের ওই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নিহত ছাত্র অভিষেক নস্কর ও অতনু দে-র পরিবার। অতুন দে-র বাবা সৌগতর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, উনি কেন এসব বলছেন জানি না। উনি কি দেখেছেন আমাদের ছেলেদের নেশা করতে? কে ওঁকে এসব বলেছে  উনি তাদের নাম বলুন। উনি তো আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অদিতি মুন্সি, সুজিত বোস। তারা তো কিছু বলেননি? যারা আমার ছেলেকে মারল তাদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে উনি এসব বলছেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উত্কর্ষ বাংলা-র সাফল্য, ১০ হাজার চাকরির নিয়োগপত্র রাজ্যের


অতনু দে-র বাবা আরও বলেন, এর আগে আমরা সুজিত বোসের কাছে গিয়েছিলাম। উনি পুলিসের ওপরতলায় ফোন করেছিলেন। সৌগত তো কিছু করেননি! আমার অফিস আছে। পাড়ার লোকজন সৌগতর ওই মন্তব্য নিয়ে ভুল ব্য়াখ্যা করছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।


অন্যদিকে, সৌগত রায়ের ওই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নিহত ছাত্র অভিষেক নস্করের বাবা। দমদমের সাংসদ হিসেবে দোষীদের ওঁর ফাঁসি চাওয়া উচিত। সেটা না করে উনি এই খুন নিয়ে রাজনীতি করছেন! পুলিসের ভূমিকাকে আড়াল করার জন্যই উনি এসব করছেন। পাগল হয়ে গিয়েছেন উনি।


কী বলেছিলেন সৌগত? গতকাল বরাহনগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্রছাত্রীদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন সৌগত। সেখানেই তিনি বলেন, বাগুইআটিতে যে দুই স্কুল পড়ুয়া দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন অন্তত ড্রাগের নেশা করত। তৃণমূল সাংসদের দাবি, একটা ছেলে বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা পায় কোথা থেকে? ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা-মা দুঃখ করছে। ওদের ধরা হয়েছে। একটা ছেলে, ১৬ বছর বয়স। সে এন ১০ ট্যাবলেট খেত। বাইক কেনার জন্য কীভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা পায়! আমি হলে তো ছেলেকে দিতে পারতাম না।  ছেলেরা ভুল পথে যাচ্ছে। আমরা চাইছি যেসব ছেলে বিপথে যাচ্ছে তারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুক। ছেলেরা এমন কিছু না করুক যাতে তাদের বাবা-মাকে লজ্জায় পড়তে হয়।


গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। দু’জনেই বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। ২৪ অগস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করে পরিবার। তার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। প্রায় ১১ দিন পর বসিরহাটের মর্গে পাওয়া গেল দুই ছাত্রের লাশ।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)