কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

"এতো হোমওয়ার্ক করতে পারব?"


"না করলে টিকিট দেবে না।"


"তাই না কি?"


"না, না, করতেই হবে।"


'বাংলার গর্ব মমতা' ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ এখন ব্যস্ত এই আলোচনায়। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই কথা। অনেকেরই মতে, এই যে ৭৫ দিনের অনুষ্ঠান, তারমধ্যে ১৫ দিন লাগাতার থাকা, তারপর তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সঙ্গে থাকা, সবটাই ঠিক ছিল। কিন্তু এই যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা অনেক 'ফাঁকিবাজ' নেতাদের যে ফাঁপড়ে ফেলতে পারে, তা স্পষ্ট। দলের একাংশ এটাও বলছে, "করতে হবেই। নইলে টিকিট পাওয়া যাবে না। তাই দিদির দেওয়া হোমটাস্ক সময় ধরে করতেই হবে অগত্যা।"


শুধু প্রতিবাদ করে মিটিং, মিছিল নয়। এবার সময় ধরে লক্ষ্য নিয়ে পৌঁছতে হবে। আর সেই অনুশাসনেই যেন সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, "আমরা তো লোকের সঙ্গেই থাকি।" কিন্তু এরকম ছকে বেঁধে দেওয়াটাই যে উদ্দেশ্য তা অনেকে মানছেন, অনেকে আবার না। এক জনৈক বিধায়ক বললেন, "একদিকে দিদিকে বলো, আবার নতুন কর্মসূচি, কীভাবে এত করবো?" এই সব নিয়ে তৃণমূল অন্দরমহল এখন জমজমাট। সবাই আজ-ই খাতাপত্র খুলে বসে গিয়েছেন। কীভাবে ৭৫ দিনের হোমটাস্ক শেষ করবেন, তার খসড়া তৈরি করতে।


আরও পড়ুন, বাংলার গর্ব মমতা : বিধায়কদের ১০ দফা হোমটাস্ক বেঁধে দিলেন নেত্রী