ওয়েব ডেস্ক : ঋণ দিতে এবার থেকে ব্যাঙ্কই পৌঁছে যাবে কৃষকের দরজায়। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আরও কৃষক যাতে সহজে ঋণ পান, সে জন্যই উদ্যোগ রাজ্যের। ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। নভেম্বরের ৭ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত কৃষকের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাবেন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা।
 
চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নয়, ব্যাঙ্কগুলি থেকে যাতে কৃষি কাজের জন্য কৃষকরা ঋণ নেন, সে জন্য ২০১২ সালে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে ৭০ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, ৯৫ শতাংশ কৃষক পেয়ে গিয়েছেন কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। বাকি আর মাত্রা ৫ শতাংশ কৃষক। এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কী সুবিধা পেয়ে থাকেন কৃষকরা? কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চাষের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে শুরু করে বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে পারেন কৃষকরা। শর্ত একটাই, ৬ মাসের মধ্যে বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে সুদ সহ ব্যাঙ্ককে ঋণ শোধ করতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাস্তবে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, মাত্র ৩০ শতাংশ কৃষক এই প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়েছেন। বাকি ৭০ শতাংশ কৃষক এখনও চড়া সুদেই মহাজনের থেকে চাষের প্রয়োজনে ঋণ নিয়ে থাকেন। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রাজ্যের সব জায়গায় ব্যাঙ্কের বা অন্য ঋণ প্রদানকারী সংস্থার যথেষ্ট সংখ্যক শাখা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক বা অন্য ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা সহায়তা করেন না কৃষকদের।


ব্যাঙ্ক বা অন্য ঋণ প্রদানকারী সংস্থার গাফিলতি নজরে আসার পর পুজোর আগেই তাঁদের ডেকে পাঠায় নবান্ন। বৈঠকে বসেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের আওতায় আরও কৃষককে নিয়ে আসতে ১৫ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবেন ব্যাঙ্ক করসপনডেন্টরা। প্রথম পর্যায়ে ৭ থেকে ২১ নভেম্বর, এই ১৫ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন ব্যাঙ্ক করসপনডেন্টরা কথা বলে, কৃষকদের  প্রয়োজন মতো ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে সহায়তা করবেন তাঁরা একই সঙ্গে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে অংশ নিতে গ্রামে গ্রামে প্রচারও চালানো হবে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্য সরকারের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিরিশ শতাংশ কৃষক এখনও পর্যন্ত কুড়ি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এবার ৪০ কোটি টাকা টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, ব্যাঙ্ক কর্মীরা কৃষকের দ্বারে দ্বারে পৌছে গেলে, অনেকটাই সাফল্য আসবে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে।