অভিনব কায়দায় জালিয়াতি! গ্রাহকের অজান্তেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব কোটি কোটি টাকা
গ্রাহক সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা? এইসব কিছুর পিছনে কি ব্যাঙ্কের কেউ জড়িত?
নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রাহকের অজান্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই চক্রের এক মাথাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সল্টলেকের বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ একজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের নাম সমীরণ সাহা। আদতে খড়দার বাসিন্দা অভিযুক্তের অ্যান্টিক জিনিসের ব্যবসা রয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে বলে সন্দেহ পুলিসের। চক্রের বাকি চাঁইদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ৩০ জুলাই সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ম্যানেজার থানায় অভিযোগ করে যে তাঁর বাগুইআটি এলাকার ব্রাঞ্চে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সেইমত পুলিস তদন্তে নামে। এরপর বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানাও তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিস খড়দার বাসিন্দা সমীরণ সাহাকে গ্রেফতার করে।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে যে, অভিযুক্ত সমীরণ সাহা প্রথমে ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ডিটেলস সংগ্রহ করে। এরপর ব্যাঙ্কে গ্রাহক পরিচয় দিয়ে সমস্ত তথ্য জানানোর পর বলত যে তাঁর ব্যাঙ্কের এসএমএস অ্যালার্ট নাম্বার ও মেল আইডি বদলাতে হবে। সেইমত চেঞ্জ হয়ে যায় নাম্বার ও মেল আইডি। এরপর ওই ব্যাঙ্কেরই অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখান থেকে ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে নেয়। এভাবেই চলতে থাকে প্রতারণা। যেহেতু আগেই এসএমএস অ্যালার্ট নাম্বার চেঞ্জ হয়ে যেত, ফলে সেই গ্রাহকও কিছুই জানতে পারতেন না।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে এই অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের ডিটেলস পেয়ে যেতেন? তবে কি এইসব কিছুর পিছনে ব্যাঙ্কের কেউ জড়িত? সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারী পুলিসকর্তারা। জালিয়াতি চক্রে আর কারা কারা জড়িত, সেই বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন, দিলীপ লাইমলাইট কাড়তেই রাহুলের 'গোঁসা', 'রাগ করে' রাখি না পরেই হাঁটা লাগালেন!