Jairam Ramesh on Bayron Biswas: সাগরদিঘির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, লোভ দেখিয়ে বাইরনকে ভাঙিয়েছে তৃণমূল: সরব কংগ্রেস
Jairam Ramesh on Bayron Biswas: জয়রাম রমেশের ওই মন্তব্যের পর মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, গোয়া ও মধ্যপ্রদেশের বিজেপির টাকা ও তদন্ত সংস্থার চাপে কংগ্রেস নেতা গেরুয়া শিবিরে চলে গিয়েছিল। বাংলার চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। কংগ্রেসের একজন বিধায়ক নিয়ে আমাদের সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে এমন অবস্থা আমাদের নয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাগরদিঘি থেকে বামেদের সমর্থনে জয়ী হওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই শিবির বদল করলেন কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এনিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সরব হয়েছেন অধীর চৌধুরী। এবার এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন সোনিয়া গান্ধী ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। শুধু তাই নয়, পাটনায় বিরোধীদের বিজেপি বিরোধী বৈঠকের আগে ঘাসফুল শিবিরকে কড়া বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন-' সুগারের রোগী, কোনওদিনই কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না'!
গতকালই কংগ্রেস ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বাইরন বিশ্বাস। তাঁর দাবি, কংগ্রেসে কাজ করা যাচ্ছিল না। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগেই তৃণমূলের টিকিটের চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি। দেখলাম তৃণমূলই একমাত্র প্রধান বিজেপি বিরোধী। এনিয়ে জয়রাম রমেশ আজ এক ট্যুইট করে লিখেছেন, নির্বাচনে জয়ের ৩ মাসের মধ্য়ে বায়ইরনকে লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাগদিঘির মানুষের জনাদেশের সঙ্গে এটা এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় এই জিনিস আগে হয়েছে। এতে বিরোধী ঐক্য বাড়াবে না বরং বিজেপির শক্তিই বাড়বে।
জয়রাম রমেশের ওই মন্তব্যের পর মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, গোয়া ও মধ্যপ্রদেশের বিজেপির টাকা ও তদন্ত সংস্থার চাপে কংগ্রেস নেতা গেরুয়া শিবিরে চলে গিয়েছিল। বাংলার চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্য। কংগ্রেসের একজন বিধায়ক নিয়ে আমাদের সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে এমন অবস্থা আমাদের নয়। অন্যদিকে, এটা স্পষ্ট আমরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে বাইরনকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াইনি। তিনি নিজে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে হবে। কংগ্রেসে বিজেপির বিরোধিতা করে না। বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প নেই। যারা উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চায় তারা এবং যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় তারাও তৃণমূলের চাতার তলায় আসতে চায়।
অন্যদিকে, বাইরনকে নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম বাইরন জিতলেও তিনি কবে তৃণমূলে যাবেন তা অধীরদাও জানতে পারবেন না। তাই হল । বাইরন বিশ্বাস এখন মীরজাফর বিশ্বাস হয়ে গেল।