Adhir Chowdhuri: ' সুগারের রোগী, কোনওদিনই কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না'!
'আমরা এটা প্রমাণ করে দিয়েছি যে, তৃণমূলকে পরাজিত করা যায়', বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সোমা মাইতি: বিধানসভায় ফের শূন্য কংগ্রেস! কীভাবে? তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। 'কোনওদিনই কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সে জড়িত ছিল না', বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর সাগরদিঘি কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের। উপনির্বাচনে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। এরপর বিধায়ক পদে তাঁর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিস্তর টানাপোড়েন চলে।
ব্যবধান মাত্র ৩ মাসের। সাগরদিঘি উপনির্বাচন জেতার পর এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন সেই বাইরন বিশ্বাস। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তাঁর হাতে শাসকদলের পতাকা তুলে দিলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমি আমার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করলাম। বাইরন বিশ্বাস দাঁড়াতে চাইছে, তাঁকে কি অনুমোদন দেব। নেতৃত্ব বলল, হ্যাঁ দিতে পার। কোনও অসুবিধা নেই'। তাহলে কেন দলবদল? অধীরের বক্তব্য, 'একটা জিনিস বুঝেছিলাম, ছেলেটি একটু দূর্বল প্রকৃতির। শারীরিকভাবে একটু অক্ষম। সুগারের রোগী। মিটিং-মিছিল করতে পারছে না। ভোটের প্রচারেও তাঁকে আমরা সবসময় পাইনি। আমি সেগুলো ম্যানেজ করেছিলাম। সেখানকার মানুষ দু'হাত ভরে তাঁকে ভোট দিয়েছে'।
এদিকে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে জয়ের পর বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছিল বিরোধীরা। বস্তুত, এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যত মডেল হয়ে উঠেছিল সাগরদিঘি। ফলে বাইরনের তৃণমূলে যোগদান বিরোধী শিবিরে বড় বড় ধাক্কা, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। অধীর বলেন, 'একটা জিনিস প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বাংলায়, যেটা আমাদের সবথেকে বড় জয়। আমরা এটা প্রমাণ করে দিয়েছি যে, তৃণমূলকে পরাজিত করা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরাজেয় রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব নন'।
সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয় ওই কেন্দ্রে। কবে? ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোট বাঁধে কংগ্রেস ও সিপিএম। সাগরদিঘিতে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপিও। ২ মার্চ ফল ঘোষণা হয়।