ওয়েব ডেস্ক: সদ্যজাতদের ICUতে জমে ধুলোর পুরু আস্তরণ। বেডের ওপর ডাঁই করা ময়লা চাদর। বেবি ওয়ার্ডে সদ্যজাতের পাশের বেডেই চিকিত্সা চলছে পঞ্চাশোর্ধ প্রৌঢ়ার। এককথায় এটাই বেহালার মোহনানন্দ শিশুভবন। ৮ বছর ধরে এই নার্সিংহোমের RMO  দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিত্যানন্দ বিশ্বাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নামেই চিকিত্সক। নিত্যানন্দ বিশ্বাসের আসল পেশা শিশুর বেসাতি। আর পনর্শ্রীর যে মোহনানন্দ শিশুসেবা কেন্দ্র থেকে নোংরা এই কারবার চলত, সেখান পৌছে গেলাম আমরা। গত আটবছর ধরে এই নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত নিত্যানন্দবাবু।


বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে। সিঁড়ি দিয়ে দোতলা উঠলেই চোখে পড়বে আসল ছবিটা। প্রথম টার্গেট ICU। ক্যামেরা ঘোরাতে দেখেই ছুটে এলেন নার্সিংহোমের কর্মীরা। ICU  থেকে আমাদের ক্যামেরা ঢুকে পড়ল বেবি ওয়ার্ডে। নামে শিশু ওয়ার্ড কিন্তু তার পাশেই বহাল তবিয়তে চিকিত্সা চলছে প্রৌঢ়ার। আর তার পাশের বেডেই ভর্তি সংকটাপন্ন সদ্যজাত। কেন এমন ব্যবস্থা? তারও অবশ্য যুক্তি আছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে।


মাস কয়েক আগে এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই শিশু বদলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও, তা মানতে নারাজ নার্সিংহোম কর্মীরা। মানছে না নার্সিংহোমের মালিকও। কিন্ত, মালিকের যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? যে নার্সিংহোমে আটবছর ধরে RMO-র দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিত্যানন্দ বিশ্বাস, তার সঙ্গে শিশু পাচারের সত্যিই কি কোনও সম্পর্ক নেই?