নিজস্ব প্রতিবেদন: আততায়ী শেষপর্যন্ত ঘরের লোকই। বেহালা জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিস গ্রেফতার করল নিহত গৃহবধূ সুস্মিতা মণ্ডলের ২ মাসতুতো ভাইকে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে টাকার জন্যই খুন করা হয়েছে সুস্মিতা ও তার ছেলে তমোজিত্কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।


আরও পড়ুন-Kolkata: কয়লা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, ৩ সংস্থার কর্মকর্তাকে তলব ED-র


জেরায় ধূত দুজনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বাজারে বিপুল টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়ের। সেই ধার মিটবে কী করে! ছোটবোলা থেকেই ওরা দেখে আসছে সুস্মিতারা অনেকটা বড়লোক। তাই তাকেই শেষপর্যন্ত চার্গেট করে তারা। তাদের আশা ছিল বোনের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা গহনা পাওয়া যাবে। সেই আশাতেই খুন।


তদন্তে উঠে এসেছে ঘচনার দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সুস্মিতার বাড়িতে যায় সন্দীপ ও সঞ্জয়। সেই সময় অনলাইনে ক্লাস করছিল তমোজিত্। তার ঘর বন্ধ করেই খুন করা হয় সুস্মিতাকে। খুনের ঘটনা দেখে ফেলাতেই খুন করা হয় তমোজিত্কে।


সুস্মিতা মণ্ডলের মায়েরা ৪ বোন। তার মধ্যে এক বোনের ছেলে সঞ্জয় ও সন্দীপ।  মূল পরিকল্পনা করে সঞ্জয়। সে একটি শপিং মলে কাজ করে। সন্দীপ এক আইনজীবীর গাড়ির চালক। সম্প্রতি দুজনের বিপুল টাকা ধার হয়ে য়ায়। তা শোধ করতেই এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। 


ঘটনার দিন দুজনেই মাস্ক পরে এসেছিল। মাস্ক পরে থাকায় দুজনকে প্রথমে চিনতে পারেনি সুস্মিতা। পরে মাস্ক খুললে তাদের ঢুকতে দেন। ভেতরে এসে তারা চা, কেক খায়। কথাবার্তার মধ্যেই সুস্মিতা অন্য ঘরে গেলে সেখানে গিয়েই তাকে খুন করে দুজন। তমোজিত তা দেখে ফেলায় তাকেও খুন করা হয়। এরপর সুস্মিতার গহনা নিয়ে পালায় সঞ্জয় ও সন্দীপ।


আরও পড়ুন- 'বাড়ি যান, সোমবার আউটডোরে দেখান', অসুস্থ শিশুকে নিয়ে NRS-এ রাত কাটালেন মা-বাবা 


এদিকে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ কাজ থেকে ফিরে ঘরে ঢুকে স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল ও ছেলে তমোজিতের গলার নলি কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তপন মণ্ডল। তপনবাবুর চিত্কার শুনে জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। 


এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছিল। সন্দেহের তালিকায় ছিল তমোজিতের গৃহশিক্ষকও। পাশপাশি পরিচিত কাউকে দেখেই যে গৃহবধূ দরজা খুলে দিয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুলিস। কারণ  ওই আবাসনের চাবি থাকে আবাসনের আবাসকিদের কাছেই। বাইরের কারও কাছে চাবি থাকে না। যার ধরে কেউ আসে সে-ই আবাসনের মেন গেটের চাবি খুলে দেয়। ফলে অনুমান করা হিয়েছিল, খুনি সুস্মিতার পরিচিত। সেই পথে এগিয়েই ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)