কলকাতায় দুর্গামণ্ডপ হবে মাতৃগর্ভ, মায়ের কাছে মেয়ে জানাবে আর্তি, `আমায় মেরো না`
মিত্রতাও হবে, বাড়বে সংহতিও। শহর কলকাতার গড্ডালিকা থেকে ফুটপাথ, অন্ধ অলি থেকে চোরা গলি, রাজপথ থেকে ছাত্র-শ্রমিকের মিছিল, এবার পুজোয় নাড়ির টানে গোটা শহর আন্দোলিত হবে মাতৃগর্ভে। দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবে এই বার্তা, `আর নয় কন্যাভ্রুণ হত্যা`। সৃষ্টির উৎসবেই সৃষ্টিকে বাঁধবে বেলেঘাটার `মিত্রসংহতি`। `যে কথা রয় প্রাণের ভিতর অগোচরে`, এবার সেকথাই আরও খোলাখুলি, আরও জোরে, আরও চিৎকার করে বলবে বলে ঠিক করেছে ওরা, `আমি মেয়ে, আমাকে মেরে ফেলো না। মা আমাকে বাঁচতে দাও`।
বেলেঘাটা: মিত্রতাও হবে, বাড়বে সংহতিও। শহর কলকাতার গড্ডালিকা থেকে ফুটপাথ, অন্ধ অলি থেকে চোরা গলি, রাজপথ থেকে ছাত্র-শ্রমিকের মিছিল, এবার পুজোয় নাড়ির টানে গোটা শহর আন্দোলিত হবে মাতৃগর্ভে। দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবে এই বার্তা, 'আর নয় কন্যাভ্রুণ হত্যা'। সৃষ্টির উৎসবেই সৃষ্টিকে বাঁধবে বেলেঘাটার 'মিত্রসংহতি'। 'যে কথা রয় প্রাণের ভিতর অগোচরে', এবার সেকথাই আরও খোলাখুলি, আরও জোরে, আরও চিৎকার করে বলবে বলে ঠিক করেছে ওরা, "আমি মেয়ে, আমাকে মেরে ফেলো না। মা আমাকে বাঁচতে দাও"।
এক নারীর কাছে আরেক নারীর আর্তনাদ। মায়ের কছে ভ্রূণের আর্তনাদ। মা দুর্গার কাছে এবার 'মিত্র সংহতি'র প্রার্থনা-কন্যাভ্রূণ হত্যা যেন আর না হয়। মেয়েদের স্বাধিকার, বাঁচার অধিকার, জীবনের অধিকারকেই মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তুলতে আগ্রহী কলকাতার এই ছোট্ট প্রতিষ্ঠান। এমন মানবিক ভাবনা, সচেতনতার পাঠশালা কলকাতায় প্রথম নয়, তবে আধুনিক কলকাতায় আদিকে বর্তমানের ভাবনায় ফুটিয়ে তোলার এই প্রয়াসে 'মিত্র সংহতি' বদ্ধ পরিকর।
ফুলবাগান থেকে কালীমন্দিরের দিকে এগিয়ে যেতে অথবা স্যার গুরুদাস পার্ক সংলগ্ন 'মিত্র সংহতি', আগের বারেও চমক এনেছিল। নেপালের ভূমিকম্পের সেই বুক ভাঙা কষ্ট, বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছে, একচিলতে কলকাতায় 'মিত্র সংহতি' নামিয়ে নিয়ে এসেছিল নেপালের ধরারা মিনারকে। এবার আরও এক জীবন্ত সমস্যা নিয়ে দেবী দুর্গার বন্দনায় আজ উল্টে রথে খুঁটি পুঁতে তার শুভারম্ভ করল 'মিত্র সংহতি'।
এই বারের পুজো 'মিত্র সংহতি'র ৭৫ বছরে পা। থিম-কন্যাভ্রূণ হত্যা। পুজোর আগাগোড়ায় থাকবেন 'মিত্র সংহতি' ক্লাবের সভাপতি বাপি দাস। এমন এক বিষয় নিয়ে পুজোর উদ্যোগ, খুবই আন্তরিকতার সঙ্গেই দেখছেন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল।