নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলেঘাটায় শিশু খুনের ঘটনায় চাপান-উতোর অব্যহত। চলছে দফায় দফায় জেরা। এরই মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্ত মা-কে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। সোমবার পুলিসি জেরার পর তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে। সূত্রের খবর, এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে শুনানি তবে গোটা সময়টাই ভাবলেশহীন ছিলেন সন্ধ্য়া। উল্লেখ্য গোটা ঘটনা শোনার পর পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এ দিন সন্ধ্যা জৈনের হয়ে সওাল করার জন্য কোনও আইনজীবীই রাজি হননি। পাশাপাশি দিনটিকে 'মাতৃত্বের কালো দিন' বলে উল্লেখ করেছে সরকার পক্ষের আইনজীবী। ঘটনার বিবরণ শুনে এ দিন হতবাক হয়েছেন খোদ বিচারপতিও। কোনও মা কীভাবে এমন নৃশংস কাজ করতে পারে তা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মা-এর নিঁখুত ছকেই খুন দু-মাসের শিশু, বেলেঘাটা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়


অপহরণ হয়নি শিশু, মা নিজে সন্তানকে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে দেয় আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে। রবিবার মধ্যরাতেই সামনে আসে বেলেঘাটা খুনের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রথমে সেলোটেপ দিয়ে নাকমুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় শিশুর এরপরেই শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় সে। নিজের খুনের কথা লুকোতেই দিনভর অপহরণের নাটক চালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত মা। 


কেন খুন? তা এখনও পরিস্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের জেরে সন্তানকে খুন করা হয়েছে। কন্যাসন্তানে অনীহাও হতে পারে অন্যতম কারণ। তবে পোস্ট ডেলিভারি ডিপ্রেশনের জন্যও এই নৃশংসতা কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে মনোবিদদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিস।