নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রতিপক্ষ শক্তিশালী, কিন্তু যদি জোটবদ্ধ হয়ে ময়দানে নামা যায় যে কোনও কঠিন লড়াইয়ে জয় অনিবার্য। প্রয়োজন কেবল একতা, জোটবদ্ধ একক শক্তির। সেই জোটে থাকবে না কোনও রং, কোনও বিভেদ। বেলগাছিয়ার বাসিন্দাদের সম্প্রীতি, একতা, অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে কাছে যেন নেহাতই তুচ্ছ এই ভাইরাস!
'মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান'- হ্যাঁ, এই মুহূর্তে বেলগাছিয়ায় পা রাখলে ঠিক এই লাইনটাই মনকে নাড়া দেবে। একই সঙ্গে ঘরবন্দিদের খাবার বিলি করছেন পুরোহিত ও ইমাম। লকডাউন যেন আক্ষরিক অর্থেই স্বার্থকতা লাভ করেছে এখানে। কঠিন পরিস্থিতিকে জয় করতে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না এলাকাবাসীরা। খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরেই। আর বাড়ি বাড়ি সেই খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন এলাকার পুরোহিত ইমামরা। দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার, মাস্কও। সহযোগিতায় রয়েছেন এলাকার যুবকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টাটা মেডিক্যালে এক ব্যক্তির মৃত্যু, করোনা নাকি অন্য কারণ খতিয়ে দেখছে বিশেষজ্ঞ কমিটি
বেলগাছিয়ার বস্তি এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরা। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন কলকাতা পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। রয়েছেন কলকাতা পুলিসের ডিসি ইএসপি অজয় প্রসাদ, জয়েন্ট সিপিও। বেলগাছিয়া এলাকায় কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে লকডাউন। বাইরের লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, পাশাপাশি এলাকার কোনও ব্যক্তিও যাতে বাইরে না যান, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছেন পুরোহিত, ইমামরাও। এককথায়, বেলগাছিয়া এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্যে এক 'মডেল রোল' পালন করছে। 


বাড়ি বাড়ি খাবার দিচ্ছেন পুরোহিত। মাইকিং করে ঘরে থাকার আবেদন জানাচ্ছেন ইমাম। যেন হাতে হাত রেখে মুষ্টিবদ্ধ তাঁরা। অসম এই লড়াইয়ে জিত আসবেই! প্রমাণ করতে মরিয়া বেলগাছিয়া।