কলকাতা: বেলভিউ ক্লিনিকের আইটি ২০৭। এক বছর আগে ঠিক এই দিনটায় ওই কেবিন ঘিরে তৈরি হয়েছিল এক আশ্চর্য বিষণ্ণতা। যা থেকে আজও বেরোতে পারেন না নার্সিংহোমের ডাক্তারবাবু আর নার্সরা। চোখ বন্ধ করলেই ছবির মতো ভেসে ওঠে একটার পর একটা দৃশ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীর তখন আর সঙ্গ দিচ্ছে না। জীবনযুদ্ধের শেষ কয়েকটা দিন এই কেবিনেই কাটিয়েছিলেন মহানায়িকা। কাচের জানলার ওপারে ঘন সবুজ। আচ্ছন্ন মহানায়িকা চোখ খুলে তা দেখতেনও। কিন্তু জীবন প্রান্তে পৌছনো কিংবদন্তী আর সবুজের দিকে ঝোঁকেননি। বাঁচার ইচ্ছেটাই মন থেকে তুলে নিয়েছিলেন।


অসংখ্য হৃদয়ে আলোড়ন তোলা মানুষটির জীবনদীপ নিভে যাচ্ছে। এক বছর আগে এই ঘরে অসহায়ের মতো তার সাক্ষী হতে হয়েছিল ডাক্তারবাবু আর নার্সদের। সেসব কথা মনে করলেই মন ভারী হয়ে আসে। চোখ ভরে যায় অদ্ভুত এক তরল নীরবতায়।


হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে কারই বা ভাল লাগে? মহানায়িকা নেই। এক বছর গড়িয়ে গেছে। ওই বেডে এসেছে নতুন রোগী। তবু না থেকেও যেন আইটিইউ ২০৭ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন মহানায়িকা।