নিজস্ব প্রতিবেদন : সামান্য একটা উপনির্বাচন। কিন্তু সেই উপনির্বাচন-ই পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো বিজেপির হাতে মোক্ষম অস্ত্র তুলে দিল। নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র, লোকসভার নিরিখে যে আসনে পিছিয়ে ছিল বিজেপি, আজ সেখানেই সব লাইমলাইট কেড়ে নিল পদ্মশিবির। হাতে মোক্ষম অস্ত্র তুলে দিল তৃণমূল। আর এমনই সেই অস্ত্র যা সর্বভারতীয় অস্ত্র হয়ে গেল। এদিন করিমপুরের ঘিয়াঘাটে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁকে মাটিতে মারধর করা হয়। লাথি মেরে রাস্তার পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাবন্দি হয় সেই ছবি। আর সেই ছবি সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বুথে এসে দেখেন এক প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুটি ফোন রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এরপরই দেখা যায়, বুথ লাগোয়া একটি ঘরে ১১ জন মিলে রান্নাবান্না করছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। লাথি মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তারিকুল শেখ সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পরই দিল্লিতে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন মুকুল রায়। নদিয়ার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। এমনকি অপরাধীদের নামের তালিকাও রাজ্য বিজেপি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।



ঘিয়াঘাটে জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিজেপি যে কোনওভাবে একচুল মাটি ছাড়বে না, তা ইতিমধ্যেই বোঝা যাচ্ছে। নদিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই ছবি সারা দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে দেখানো হয়েছে। এই ছবি দেখার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে সবাই খোঁজখবর নেন। দিল্লি থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ঠিক এটাই চাইছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, অবাধ ভোট যে হয় না, সেই ছবিই তুলে ধরতে চাইছিল তারা। আর এই ঘটনা তাদের হাতে একটা বড় প্রমাণ হিসেবে উঠে এল।


আরও পড়ুন, 'লাথিটা কার দেখতে হবে', জয়প্রকাশকে লাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য পার্থর


এই ঘটনাকে বিজেপি যে সর্বভারতীয় ইস্যু করবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় আগামিকাল সোমবার সংসদে সোচ্চার হবেন মুকুল রায়। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ লোকসভায় জানানো হবে। হামলার ঘটনার যাবতীয় প্রমাণপত্র ইতিমধ্যেই জোগাড় করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকেও হামলার ঘটনায় বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে তারা। ৯ জন তৃণমূল কর্মীর নামে পুলিসে অভিযোগ দায়েরর পরেও পুলিস কেন গ্রেফতারের চেষ্টা করল না? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। একইসঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অবরোধও করে বিজেপি। সবমিলিয়ে এই ঘটনার রেশ ধরে রাখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। উদ্দেশ্য একটাই, যতটা রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায়।