Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam News: পার্থর কাছে পৌঁছে দিতেন, অর্পিতার গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল তাঁর হাতে, বিস্ফোরক ড্রাইভার
Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam News: চারটে ব্র্যান্ডেড গাড়ি অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে দেখেছেন প্রণববাবু। তবে তিন-চার মাস হল আবাসনের গ্যারেজে থেকে সেগুলো উধাও। কোথায় গেল সেই গাড়িগুলো?
সন্দীপ প্রামাণিক: জানুয়ারি থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) গাড়ি চালাচ্ছেন প্রণব ভট্টাচার্য। Zee 24 Ghanta-তে বিস্ফোরক দাবি করলেন পার্থ-ঘনিষ্ঠের এই গাড়ির চালক। তাঁর দাবি, মাঝে মধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যে ঘরে টাকার পাহাড় আবিষ্কার করেছে ইডি, সেই ঘরে কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। ওই ঘর থেকে যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হতে পারে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারছেন না প্রণববাবু। তিনি জানান, ইডি আধিকারীকরা তাঁর মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছেন। পুজোর আগে হঠাৎ করে চাকরিহারা হয়ে পড়ায়, প্রবল সমস্যায় পড়বেন।
ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরের বাসিন্দা প্রণব ভট্টাচার্য। Zee 24 Ghanta-কে তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেরতেন, তখন কাউকে নেওয়া হত না। চারটে ব্র্যান্ডেড গাড়ি অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে দেখেছেন প্রণববাবু। তবে তিন-চার মাস হল আবাসনের গ্যারেজে থেকে সেগুলো উধাও। কোথায় গেল সেই গাড়িগুলো? সদুত্তর দিতে পারেননি গাড়ির চালক। প্রণব ভট্টাচার্য আরও জানান, অর্পিতা মুকোপাধ্যায় তাঁকে নিয়ে 'ইচ্ছে' নামের পার্লার যেত। বাকি জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতো না। ধৃত অর্পিতাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলে তাঁর ছুটি হয়ে যেত।
অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে তদন্তকারীদের চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়। ফ্ল্যাটের অন্দরে টাকার পাহাড় দেখতে পান তাঁরা। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ৫ কেজি সোনার বার, ৪.৩১ কোটি টাকার সোনা এবং প্রচুর জমির দলিল উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। সূত্রে খবর, শুধু ঘরের আলমারি নয়, টাকা উদ্ধার হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ (Partha Chatterjee) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকেও। সবই পাঁচশো টাকা এবং দু'হাজার টাকার নোট ছিল। প্রায় ১০টি ট্রাঙ্ক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় নগদ টাকা, সোনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ট্রাক ভর্তি করে সেই টাকা নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। এর আগে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাটে যায় ইডি। সেখান থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। শুধু বিপুল পরিমাণ নগদ-ই নয়, ৫৮ লক্ষ টাকার সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা এবং ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে ইডি।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।