Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam News: টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার পর বাগুইআটি? অর্পিতার ৯১১ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট ঘিরে টানটান উত্তেজনা

নান্টু হাজরা: যখের ধনের লড়াইয়ে টালিগঞ্জকে হারিয়ে দিয়েছে রথতলা। এবার কি লড়াইয়ে যোগ হবে বাগুইআটি? কারণ ইতিমধ্যে আটঘড়ার একটি বহুতলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি (ED)। বহুতলের বি ব্লকে, ফ্ল্যাট নম্বর ৪০৪। বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকাই ওই ৯১১ স্কোয়্যার ফিটের ওই ফ্ল্যাটে হাজির হন ইডির তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই ফ্ল্যাট কেনেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তবে এরপর থেকে সেখানে যাননি তিনি। বহুতলের বাসিন্দারাও তাঁকে সেখানে যেতে দেখেননি। ২০১৯ সালে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি হয়। ওই ফ্ল্যাটে কোনও নথি বা টাকা রাখা রয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতেই ওখানে যান ইডির আধিকারীকরা। তালা ভেঙে বাড়িতে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা।     

বুধবার অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে তদন্তকারীদের চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়। ফ্ল্যাটের অন্দরে টাকার পাহাড় দেখতে পান তাঁরা। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ৫ কেজি সোনার বার, ৪.৩১ কোটি টাকার সোনা এবং প্রচুর জমির দলিল উদ্ধার করে তদন্তকারী দল।  সূত্রে খবর, শুধু ঘরের আলমারি নয়, টাকা উদ্ধার হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ (Partha Chatterjee) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকেও। সবই পাঁচশো টাকা এবং দু'হাজার টাকার নোট ছিল। ইতিমধ্যেই সিল করা হয়েছে ক্লাবটাউনের ব্লক ২-এর ওই ফ্ল্যাট। প্রায় ১০ টি ট্রাঙ্ক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় নগদ টাকা, সোনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ট্রাক ভর্তি করে সেই টাকা নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। 

এর আগে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাটে যায় ইডি। সেখান থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। শুধু বিপুল পরিমাণ নগদ-ই নয়, ৫৮ লক্ষ টাকার সোনা, বৈদেশিক মুদ্রা এবং ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে ইডি।

প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।