জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যখের ধনের ভারে সর্বস্বান্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মন্ত্রিত্ব গিয়েছে, একই দিনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) থেকেও সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। এরপরই এক সময়ের সতীর্থ ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) নিশানায় বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। "পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সহকর্মী ভেবে লজ্জিত", প্রতিক্রিয়া কলকাতার মেয়রের। বৃহস্পতিবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মহাসচিব, দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা'র সম্পাদক-সহ সমস্ত পদ থেকে অপসারিত। যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন সাসপেন্ড থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, এমনটাই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপরই সাংবাদিকদের ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "এই ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। সকলের মনের মধ্যে একটা চাপ রয়েছে। কেউ ভাবতে পারনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সহকর্মী ভেবে লজ্জিত। তবে আমি এখনও আশা করব, সঠইক তদন্ত হবে এবং সত্যটা সামনে আসবে।"


আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam News: টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার পর বাগুইআটি? অর্পিতার ৯১১ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট ঘিরে টানটান উত্তেজনা


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, TMC: যখের ধনের ভারে তৃণমূলে পার্থ-বিসর্জন


একই দিনে মন্ত্রিসভা থেকেও অপসারিত হন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। জল্পনা ছিল পার্থর মন্ত্রিত্বের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে ওই বৈঠকের পরই পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শিল্পবাণিজ্য-সহ তথ্য-প্রযুক্তি, পরিষদীয় এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পার্থকে সরানোর পর নাম না করে প্রতিক্রিয়াও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, "একজনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলাম। আমাদের দল খুব কঠোর দল। অনেক কষ্ট করে রাজনীতিটা করি।" 


প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)