নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনি আঁকছিলেন। লিখছিলেন ‘ছন্দমিলে ঝরা পাতায়।’ খুঁজছিলেন, ‘কখনও যদি মহাকাশের বন্ধু আসে।’ কবির সঙ্গে দেখা হয়ে গলে তাঁর রঙিন বন্ধুদের! আর ফিরলেন না। চলে গেলেন কবি পিনাকী ঠাকুর। সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫৮-তেই থামল কবির কলম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘গণতন্ত্রের ধর্ষণকারী’ নাম না করে মোদীকে বিঁধলেন ফিরহাদ


গত বছরের ২১ ডিসেম্বর অসুস্থ হন পিনাকী ঠাকুর। তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে। সেখানেই চিকিত্সা চলছিল। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বারাকপুরের একটি নার্সিংহোমে। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিত্সকরা কবিকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ২৮ ডিসেম্বর বারাকপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।


আরও পড়ুন- ভক্তির চরম নিদর্শন, ৯১টি গোপালের বনভোজন করালেন ভক্ত


জানা গিয়েছে, আজই কবির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। হুগলীর বাঁশবেড়িয়ায় তাঁর জন্মভিটের কাছেই পঞ্চভূতে বিলীন হবেন পিনাকী ঠাকুর। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হবে কবির দেহ। শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশে ঘণ্টাখানেক সেখানেই রাখা থাকবে পিনাকী ঠাকুরের দেহ। তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাংলা অ্যাকাডেমি-তে।  সেখানে থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়, কবির জন্মভিটেতে। সেখানেই ত্রিবেণী ঘাট মহাশ্মাশানে সম্পন্ন হবে কবির শেষকৃত্য।


উল্লেখ্য, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি পিনাকী ঠাকুরের অবদান অনস্বীকার্য।  ‘চুম্বনের ক্ষত’, ‘অকালবসন্ত’, ‘কলঙ্করচনা’, ‘শরীর কাচের টুকরো’-র মতো একাধিক কাব্যগ্রন্থের সৃষ্টি হয়েছে তাঁর হাতেই। ২০১২ সালে ‘চুম্বনের ক্ষত’ কাব্যগ্রন্থের জন্য আনন্দ পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। বছরের শুরুতেই এই কবির অকাল প্রয়াণে আরও গভীর শূন্যতা তৈরি হল সংস্কৃতি মহলে।