ভক্তির চরম নিদর্শন, ৯১টি গোপালের বনভোজন করালেন ভক্ত
বুধবার দমদমের এমসি গার্ডেন রোড ও কালী বাড়ি রোডের মোট ৯১টি বাড়ির গোপালদের নিয়ে বনভোজন মহোত্সব সম্পন্ন হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীত মানেই বনভোজন। মিঠে কড়া রোদ পিঠে মেখে কমলালেবু খেতে খেতে অপেক্ষা, কখন নামবে ভাত। বনভোজন বা পিকনিক যেন শীতের বঙ্গজীবনের অন্যতম অঙ্গ। কিন্তু পড়শি বা বন্ধুরা নন, বনভোজনে যদি যোগ দেন সিংহাসনের গোপালরা? তেমনটাই হয়েছে দমদমের কালী বাড়ি রোডে।
(গোপালের বনভোজন মহোত্সব)
সারা বছর সিংসাসনে পূজিত হন যিনি, একদিনের জন্য তিনি যদি হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্য? এই ভাবনা থেকেই ২০১৮ সালে গোপালের বনভোজন মহোত্সবের আয়োজন করেছিলেন দমদমের বাসিন্দা অভিষেক। গত বছর ৪৫টি গোপাল নিয়ে বনভোজন নিয়ে সেই উত্সব শুরু হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় বর্ষে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াল ৯১-তে। বুধবার দমদমের এমসি গার্ডেন রোড ও কালী বাড়ি রোডের মোট ৯১টি বাড়ির গোপালদের নিয়ে বনভোজন মহোত্সব সম্পন্ন হল। যার গোটাটাই নিজে হাতে করলেন অভিষেক পোদ্দার। অভিষেক সাহায্য পেলেন বন্ধুদেরও।
আরও পড়ুন- আলিপুর চিড়িয়াখানায় জিরাফের সফল প্রজনন
এদিন সকাল থেকেই দমদমের উজ্জ্বল সংঘ মাঠে ছিল উত্সবের আমেজ। সকাল থেকেই গোপালদের নিয়ে মাঠে হাজির হতে থাকেন গৃহবধূরা। বেলা গড়াতেই সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ৯১-তে। সবার জন্য কমলালেবু, চিপস, চকোলেটের আয়োজন করেছেন অভিষেক। ছিল বাল্যভোগও। তারপর পুজো হয় সবার। এরপর সম্পন্ন হয় স্নান ক্রিয়া। এখানেই শেষ নয়। গোপালদের জন্য ছিল ভোগের আয়োজনও। পোলাও, আলুর দম, খিচুড়ি, আলু-কপির তরকারি, লুচি, সুজি, মালপোয়া, পাটিসাপটা, চাটনি, পাপড়, পায়েস দিয়ে তৈরি হয় ভোগ। আর মিষ্টিতে ছিল আমৃতি, রসগোল্লা, রাজভোগ। ছিল গোপালের পছন্দের ননী, মাখন, ক্ষীরও।
অভিষেকের কথায়, “ছোটবেলা থেকে ঠাকুর দেবতা নিয়েই কেটেছে। ক্রিকেট, ফুটবল খেলার সময়টা আমি পূজাঅর্চনা করেই কাটিয়েছি। গোপালের বনভোজন করার বিষয়টি মাথায় আসে আগের বছর। গোপালকে যদি নিজের পরিবারের একজন ভাবি, তাহলে গোপালেরও বনভোজন হওয়া উচিত বলে মনে হয়েছে। তারপরই মহোত্সবের আয়োজন। এবারও তা পালিত হল।”