নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় সঙ্গীতে বদল চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দু'পাতার চিঠি লিখেছেন বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি জনগণমন-র বদল চান। তা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন বঙ্গ বুদ্ধিজীবীর দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'জনগণমন' নিয়ে সুব্রহ্মণ্যমের আপত্তি কীসের? 


বিজেপি সাংসদের আপত্তির কারণ 'সিন্ধু' শব্দ। তাঁর মতে, জাতীয় সঙ্গীতের কিছু কিছু শব্দ (যেমন, সিন্ধু) এই প্রজন্মের মধ্যে অনাবশ্যক ধন্দ তৈরি করে। 'জনগণমন'-র শব্দ বদলে তিনি তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)-র গাওয়া গানটিকেই পছন্দ করেছেন। 'জনগণমন'র আদলে লেখা আইএনএ-র জাতীয় সঙ্গীত 'কাওয়ামি তারানা'র প্রথম পংক্তি ছিল 'শুভ সুখ চ্যায়েন'। এই গানটিই ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন স্বামী। বিষয়টিতে দ্রুত সাড়াও পেলেন তিনি। এ নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত স্বামী নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন সে কথা। আর তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন বিতর্ক।


কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামী রবীন্দ্রনাথের লেখা বদলানো এবং তাঁর রচিত জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর বিষয়টিতে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি জানান, 'রবীন্দ্রনাথের লেখা বদলে দেওয়ার এই ভাবনাটাকেই আমি ধিক্কার জানাই।' জয় আগাগোড়া বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানান। জয় ইদানীংকালের বিজেপি নেতাদের সদম্ভ উক্তির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে জয় সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, উচ্চ পদ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ দম্ভ দেখিয়ে ফেলেন। ইদানীং বিজেপি নেতাদের মধ্যেও বারে বারেই সেই দম্ভ দেখা যাচ্ছে।  


'অর্বাচীনের মতো কথা বলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী', জানান এ শহরের আর এক কবি ও গদ্যলেখক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


অন্য দিকে, চিত্রপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এই বিতর্কে একটি মূল বিষয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, 'রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা যদি ঠিক হয়, তবে সংস্কৃতির রাজনীতিটাও ঠিক হয়ে যাবে।' 


দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন চিত্রশিল্পী সমীর আইচ। তিনি ইদানীং চারদিকে যে লোকদেখানো রাজনৈতিক চালকৌশলের রমরমা চলছে তার সমালোচনা করেন। নেতাদের কথায় কথায় কবিতা আওড়ানো বা কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের পোশাক পরে সেই কমিউনিটিকে স্পর্শ করার ইচ্ছাটিকে হাস্যকর বলে সমালোচনা করেন। 


also read: জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর পরামর্শ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর!