নিজস্ব প্রতিবেদন: নানা ভাষা, নানা মতের ভবানীপুর (Bhabanipur)। যাকে ইতিমধ্যেই মিনি ইন্ডিয়ার তকমা দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলাভাষী, অবাঙালি ও সংখ্যালঘু ভোটের সংমিশ্রণ ঘটেছে এই কেন্দ্রে। এই জনবিন্যাসই হতে চলেছে উপভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর, মত রাজনীতির কারবারিদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে (BJP) রুখতে তৃণমূলকেই (TMC) বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘুরা। ভোটের ফলেই তা স্পষ্ট হয়েছে। এমনকি উত্তরবঙ্গেও কংগ্রেসের (Congress) সংখ্যালঘু ভোটে ভাঙন ধরেছে। এই প্রবণতার ব্যতিক্রম হয়নি ভবানীপুরে। ভবানীপুর (Bhabanipur) উপনির্বাচনে ভোটার প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার। এর মধ্যে সংখ্যালঘু ভোটার প্রায় ২২ শতাংশ। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড মূলত সংখ্যালঘু প্রধান। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২৮ হাজারের মধ্যে তৃণমূলকে প্রায় ২২ হাজার ভোটের লিড দিয়েছিল এই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডই। তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন, ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে।   


অন্যদিকে, অবাঙালি ভোটারদের একটা বড় অংশ বিজেপির ভোটার। এবার তাদের প্রার্থী অবাঙালি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। যদিও তিনি নিজেকে 'বাংলার মেয়ে' বলেই পরিচয় দেন। গত বিধানসভা ভোটে ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। সেখানে অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা বেশি। ফলে বিজেপির লক্ষ্য অবাঙালি ভোট যতটা বেশি সম্ভব তাদের ইভিএমে টানা। 


আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়। তা হল ভোটের হার। দক্ষিণ কলকাতার অন্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মতোই ভবানীপুরেও (Bhabanipur) সাধারণত ভোটের হার কম থাকে। 


- ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৩.৭৮%। 
- ২০১১-র উপনির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৪৪.৭৩%।
- ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচন ভোট পড়েছিল ৬৬.৮৩%।
- ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬১.৭২%।


ভোটের হার বাড়লে উপভোট ও নির্বাচনের ফলের মধ্যেই অনেকটাই ফারাক হয়ে যেতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।        


আরও পড়ুন- Mid-Day Meal হল 'PM Poshan', সবেতেই প্রধানমন্ত্রীর নাম? বিরোধিতা TMC-র


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)