নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার আরও এক বার মুকল-সব্যসাচী এক ফ্রেমে। এবার হয়তো লুচি আলুদম নেই। কিন্তু জল্পনার মশলাও কোনও অংশে কম ছিল না। মেয়র পদ ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিলেও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কার্যত এক ঘরে করে দিয়েছেন। আপাতত বিধাননগর পুরনিগম সামলাচ্ছেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। দিনভর যখন তাঁকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম তৈরি হচ্ছে, তখন তিনি বই ঘেঁটে দেখছেন, কোন নিয়মের পথে হাঁটলে কুল রক্ষা করা যেতে পারে সহজে! ফোনে তাঁকে পাওয়া গেলে সব্যসাচী বলেন, “এই একটু ‘দ্য পলিটিক্স’ আর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাক্ট’ বই দুটি ঘেঁটে দেখছি। নিয়ম কানুন কী রয়েছে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজ সংবাদমাধ্যমে সব্যসাচী স্পষ্ট জানিয়েছেন, মেয়র পদ এখনই ছাড়ছেন না। ভোটাভুটিতে যেতে যান। তাঁর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাউন্সিলর থাকবেন বলে যথেষ্ট আশাবাদীও। তবে, কোথাও হয়ত তাঁর মনটা খচখচ করে উঠছে। দলের কঠিন সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক হয়ে লড়েছেন তিনি। আগামিকালই তেমনই একটি মামলার রায় রয়েছে বারাসত আদালতে।


আরও পড়ুন- ছাড়ছি না মেয়র পদ, ভোটাভুটি হলেই দেখবেন ক’জন কাউন্সিলর আমার সঙ্গে: সব্যসাচী দত্ত


২০০৯ সালে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযান চালান তৃণমূল কর্মীরা। পুলিস, প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে অন্যতম মুখ ছিলেন এই সব্যসাচী দত্ত। আগামিকাল বারাসত আদালতে হাজির হতে পারেন তিনি। সেখানেই দেখা হবে অনিতা, চামেলি কাউন্সিলরদের সঙ্গে। কোথাও যেন সব্যসাচীর আক্ষেপ যে দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে আদালতের মুখোমুখি হচ্ছেন, আজ দল কার্যত তাঁর পাশে নেই। ববি হাকিমের স্পষ্ট বার্তা, সব্যসাচী দলের অপরিহার্য নয়। দলকে বিপদে ফেলছেন তিনি। যাওয়ার হলে চলে যাক।