নিজস্ব প্রতিবেদন : সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্য়েই কেষ্টপুর মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ভিআইপি রোড অবরোধ করেছে বিজেপি। পাশাপাশি পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা। হাওড়াতে জেলাশাসকের বাংলোর সামনে ব্য়ারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা, কর্মীরা। একইসঙ্গে উত্তরে তুফানগঞ্জেও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। যানজটে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে অবরোধে সামিল হন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে কাঁথি-দিঘা বাইপাসের উপরেও গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধে সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাড্ডার গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে হুগলির ডানকুনির কালিপুরেও অবরোধ বিক্ষোভ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর-মধুপুর বাজারের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপি দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌরীশংকর ঘোষের নেতৃত্বে জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। বিক্ষোভের জেরে কিছুক্ষণের জন্য অব্রুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ার শহরের কলেজহল্টেও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা ৷ পাশাপাশি, হুগলির পিপুল পাতি মোড়ে, নদীয়ার জেলা সদর কৃষ্ণনগর শহরেও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।



পানাগড়ে বিক্ষোভ


প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার যাত্রাপথে শিরাকোলে ধুন্ধুমার বাধে। BJP নেতৃত্বের কনভয়ের উপর তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আটকানো হয় বিজেপি সভাপতি J P Nadda-র গাড়ি। কনভয়ে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের গাড়িও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, পাথর ও ইট ছুড়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুপম হাজরার গাড়িও।


শিরাকোলে এদিন সকাল থেকেই TMC-র সভা চলছিল। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, নাড্ডার কনভয় শিরাকোল মোড়ে পৌঁছতেই চড়াও হন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। আটকানো হয় মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরার গাড়িও। কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর পুলিসের মধ্যস্থতায় জে পি নাডডার গাড়ি ছাড়া হয়। কিন্তু বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়ি বেরিয়ে যেতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। বাইকে সওয়ার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। কয়েকজন মারধর করা হয়।


বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, রাস্তায় খুবই অল্প সংখ্যক পুলিস মোতায়েন ছিল। পুলিসের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিসকে উদ্দেশ করে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। পাল্টা টুইট করে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস। সবমিলিয়ে তুঙ্গে উত্তেজনা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে গোটা বিষয়টি জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


আরওপড়ুন, পুলিসের সামনেই বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা, অত্যন্ত উদ্বেগজনক : রাজ্যপাল


'বাংলায় গুন্ডারাজ চলছে, এবার Mamata-কে ছুটি দিন', রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ Nadda-র