নিজস্ব প্রতিবেদন: তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিবিআই-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে দায়ী করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃত্য়ু নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্য়ু নিয়ে রাজনীতি করছেন। তাপস পাল জেলে থাকলে পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। এখন রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন,"কেন্দ্রের একটা এজেন্সির দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে মৃত্যু। মানসিকভাবে নিজে এমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে হয়তো জানতেও পারল না যে তাঁর অপরাধটা কোথায়?'' তার পাল্টা দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া,''সিনিয়র নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপির অফিস ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু তাপস পালকে জেলে দেখতে পর্যন্ত যাননি। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সবাই। নারদা-সারদা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কলুষিত করেছে। ওনার সাংসদ, বিধায়করাও স্বীকার করে নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মগ্লানি ও হতাশা থেকে এসব কথা বলছেন।'' 


বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,'' মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  আড়াই-তিন বছরে তাপস পালের খোঁজ নেননি। সুদীপের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। অথচ তাপস পালের ছায়া মাড়াতেন না। উত্তর দিতে হবে মাননীয়াকে। তাপস পালের মন ভেঙে যাওয়া, শরীর ভেঙে যাওয়ার জন্য কেউ দায়ী থাকে, তাহলে সেটা তিনিই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিটফান্ডে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন কয়েক শো লোক। সেই ঘটনায় জড়িত ছিল তৃণমূল। সুদীপ জেল থেকে বেরিয়ে উপরে উঠে গেলেন। তাপসকে আস্তাকুঁড়ে ফেলার জন্য কেউ দায়ী থাকে, তাহলে সেটা তৃণমূল ও মাননীয়া।''  


সিপিএমের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ,''নিজের জীবন দিয়ে তাপস পাল প্রমাণ করে দিলেন অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।''    


আরও পড়ুন- তাপস পাল জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ: সুজন