প্রবীর চক্রবর্তী ও সুতপা সেন: কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ! কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে যখন ধরনায় বসেছেন স্বয়ং মু্খ্যমন্ত্রী, তখন  দুর্নীতির প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভে সামিল হলেন বিজেপি বিধায়করাও। উঠল স্লোগান, পাল্টা স্লোগানও। নজিরবিহীনকাণ্ড বিধানসভা চত্বরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Amit Shah | Mamata Banerjee: শাহি সভার পালটা বিধানসভায় ধরনা, যুযুধান দুই 'ফুল'শিবিরের তরজায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি


ঘটনাটি ঠিক কী? কাঁধে কালো উত্তরীয়। এদিন দুপুরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বিধানসভায় চত্বরে ধরনা বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে কালো পোশাক পরে তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রীরা।


এদিকে ধর্মতলায় ততক্ষণে অমিত শাহের সভা শেষ। বিকেলে হঠাৎ-ই  বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, তাঁর নির্দেশে বিধানসভার গাড়ি বারান্দার দুর্নীতির প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করাও। শুরু হল পাল্টা স্লোগান।



বিজেপির বিক্ষোভ অবশ্য় যোগ দেননি শুভেন্দু। বিধানসভায় নিজের ঘরেই ছিলেন তিনি। ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সারাজীবন লুঠ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের টাকায় লুঠবাজি করে, নিজেরাই দলটার বদনাম করেছে। সেই গদ্দারদের আমাদের কেউ ভয় পাই না, তৃণমূল পাই না'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি। আমাদেরটা অনুমতি নিয়ে, আর ওদেরটা বেআইনি। বিজেপি ভদ্রতা জানে না।  বিজেপির বিক্ষোভের অনুমতি ছিল না। স্পিকারকে বলব ব্যবস্থা নিতে'।



আরও পড়ুন: WB Assembly: নজিরবিহীন অনুপস্থিতি বিধানসভায়! প্রথম ৭ প্রশ্ন কর্তা-ই গরহাজির অধিবেশনে


নজরে ২০২৪। আর কয়েক মাস বাদেই লোকসভা ভোট। বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল। সেই আন্দোলনের আঁচ এবার বিধানসভায়ও। কীভাবে? এখন শীতকালীন অধিবেশন। এ মাসের ২৮, ২৯ ও ৩০ তারিখে অধিবেশন শেষে বিধানসভা বাইরে দলের বিধায়কদের ধরনায় বসার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার ধরনায় যোগ দেন তিনি নিজেও।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)