অঞ্জন রায়: ২০২১ সালের আগে সংগঠন গুছিয়ে নেওয়ার শেষ মওকা। আর সেই গোছানোর কাজে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন মুরলিধর রাও। বাংলায়  সাংগঠনিক নির্বাচনে দেখাশোনা করবেন দক্ষিণের এই নেতা। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় পেয়েছেন তামিলনাড়ুর দায়িত্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ৩টি আসনেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এর মধ্যে খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জ হারানোটা অস্বস্তির বড় কারণ। ৬ মাস আগে লোকসভা ভোটে বিধানসভাওয়াড়ি ফলে দুটি আসনেই এগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। খড়্গপুরে তো ব্যবধান ছিল ৪৫ হাজার। কিন্তু দলের রাজ্য সভাপতি নিজের গড়ই ধরে রাখতে পারেননি। লোকসভা ও বিধানসভা যে এক নয়, তা বুঝে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই সাংগঠনিক রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। আর এমনিতেই সংগঠনে রদবদল হওয়ারই কথা। লোকসভার জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ফলে সব রাজ্যেই হতে চলেছে বদল। কিন্তু বাংলার প্রেক্ষাপট আলাদা? 


২০২১ সালে বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। কিন্তু উপনির্বাচনের ফল এখন তাঁদের চোখের বালি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে তাই রদবদল করে নিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এটাই শেষ সুযোগ। বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদলে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন মুরলিধর রাও। দুরন্ত সংগঠক হিসেবে বিজেপির অন্দরে সুনাম রয়েছে তাঁর। যুব মোর্চার সভায় বাংলাতেও এসেছিলেন। 



সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক, সহ-সভাপতি রদবদল হতে পারেন বলে জল্পনা। এর সঙ্গে রয়েছে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ও যুব মোর্চার সভাপতির পদও। শোনা যাচ্ছে, সঙ্ঘের লোক আসতে পারেন নতুন কমিটিতে। উঠে আসছে হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ রন্তিদেব সেনগুপ্তর নাম। এর পাশাপাশি সঙ্ঘের আরও কয়েকজন তরুণ মুখ ঢুকতে পারেন বলে জল্পনা। 


আরও পড়ুন- চিড়িয়াখানায় গিয়ে জনসংযোগ করুন, রাজ্যপালকে পরামর্শ পার্থর