জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: 'কোনটা অগ্রাধিকার সেটা বুঝতে হয়'। সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার বসিরহাটে সাংসদ নুসরত জাহানকে নিশানা করল বঙ্গ বিজেপি। এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট দেওয়া হল, 'সন্দেশখালিতে যখন মহিলারা নিজেদের সম্মানের জন্য লড়াই করছেন, তখন বসিরহাটে তৃণমূল সাংসদ ভ্য়ালেন্টাইনস ডে পালন করছেন'!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Mamata Banerjee: লোকসভায় 'একলা চলো'-র ডাক, নির্বাচনের আগে পঞ্জাবে দুই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা


সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গরাজনীতি। পথে নেমেছে বিরোধীরা। বিজেপি আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। চলে ইটবৃষ্টি! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। কবে? গতকাল, মঙ্গলবার।


এদিকে টাকিতে পুলিসে ধস্তাধস্তিতে পুলিসের ধস্তাধস্তিতে যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তখন সন্দেশখালিকাণ্ডে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে কাঠগড়ায় তুলল বঙ্গ বিজেপি।


 



২০১৯ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বসিরহাটের সাংসদ নির্বাচিত হন নুসরত জাহান। সন্দেশখালিকাণ্ডে তাঁর বার্তা, 'এই কঠিন পরিস্থিতিতে, লোককে রাগানো বা প্রভাবিত করার থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। প্রশাসনকে সাহায্য করুন। রাজ্য সরকার ক্লান্তিহীনভাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এই পরিস্থিতিকে রাজনীতির রঙ দেবেন না। আমাদের কাজ আগুন নেভানো, আগুনে ঘি দেওয়া নয়। প্রশাসনকে সাহায্য করুন। তাদের দায়িত্ব পালনে সাহায্য করুন'।


এদিকে চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। গতকাল, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে পৌঁছয় রাজ্যের শাসকদলের দুই প্রতিনিধি। উত্তর ২৪ পরগনার জেলায় বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নৈহাটির বিধায়ক পার্থের বার্তা, 'খেলা হবে, এটা খালি মনে রাখতে হবে। যাঁরা ভাবছেন টিভিতে একবার মুখ দেখালেই এলাকা দখল হয়ে যাবে, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। সন্দেশখালিতে গ্রামে যাঁরা আছেন আর অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে এলাকার করে কথা বলব'।


তৃণমূল বিধায়কের ঘোষণা, 'আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই সন্দেশখালি অঞ্চলেই আমাদের সভা হবে ১১টায়। আমরা ছাড়াও থাকবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, তাপস রায়'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, আমরা সেদিন দেখিয়ে দেব। ১৮ তারিখ আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার দিন। আমরা সন্দেশখালির মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের দিয়ে বলিয়ে দেব, , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে এ রাজ্যে মা-বোনেদের অসম্মান হয় না। এটা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট নয়। যাঁরা মা-বোনেদের অসম্মান করবেন, তাঁদের তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এখানে মা-বোনেদের অসম্মান হয় না'।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)