ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের তিন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন সকলের ওপরই রয়েছে তাঁর কড়া নজর। দলীয় বিধায়করা যাতে বিধানসভার অধিবেশনে ফাঁকি দিতে না পারেন সে জন্য হাজিরা খাতা চালুর নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনই বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দলের কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি যে যোগাযোগ রাখছে তা তিনি ভালই জানেন। এই বিধায়করা বর্ধমানের নাকি উত্তরবঙ্গের? নেত্রীর কথা শোনার পরই তৃণমূলে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন।


আরও পড়ুন, এখানে ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মহিলাদের ফোন নম্বর!


এ দিন দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় সকালে এসে সই করেই পালিয়ে গেলে হবে না। এ বার থেকে তিনি বিষয়টি দেখবেন। নেত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ওপর দলীয় বিধায়কদের হাজিরা খাতায় নজর রাখার দায়িত্ব পড়েছে।


শুক্রবার পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকেই ঢোকা-বেরনোর সময় শুরু হয়ে গেছে চেকিং। মমতার নির্দেশ, মন্ত্রীরা যখন তখন নিজেদের প্যাড ব্যবহার করতে পারবেন না।বিধায়করাও ইচ্ছামতো সুপারিশ করতে পারবেন না। এ বার বাজেটে রাজনৈতিক দলের তহবিলে কালো টাকায় লাগাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বদলীয় বৈঠক করেই নগদ চাঁদা সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকার বিষয়টা ঠিক করা উচিত ছিল। রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দেওয়ার জন্য যে বন্ডের কথা বলা হয়েছে তাতে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি এতে সন্তুষ্ট নন।  


সংসদের মতো বিধানসভাতেও নোট ইস্যু জিইয়ে রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়কদের তিনি বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকে রাখা হয়েছে। সুজন চক্রবর্তীকে ডাকা হয়নি। অন্যের বেলায় ম্যাচ ফিক্সিং। আর সব প্রতিহিংসা তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের জন্য এ বার আন্দোলনে নামবে দল। বাজেট বিতর্কের জন্য বিধায়কদের পড়াশোনা করারও নির্দেশ দেন তিনি।