নিজস্ব প্রতিবেদন: আসানসোল এবং বিধাননগরে পুরভোট (Municipal Election 2022) বাতিলের দাবি জানাল বিজেপি (BJP)। নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল বিজেপি (BJP)। ওই দুই কর্পোরেশনে সুষ্ঠ ভাবে ভোট না হওয়ার অভিযোগ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুরভোট বাতিলের দাবি বিজেপির (BJP)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও কমিশন সূত্রে খবর, ভোট বাতিলের কোনও সম্ভাবনা নেই। সোমবার, যেমন ৪ পুরসভার ভোট গণনা হওয়ার ছিল, তেমনই হবে। নির্বাচন কমিশনে (State Election Commission) লেখা চিঠিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ উল্লেখ করেছে বিজেপি (BJP)। যেখানে বলা হয়েছিল, 'অবাধ ও শান্তপূর্ণ ভোট করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। পরিস্থিতি বিচার করে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজন সেখানে তা মোতায়েন করা যেতে পারে।' এরপরই গেরুয়া শিবির অভিযোগ করে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবর্তমানে বিধাননগর এবং আসানসোলে ব্যপক সন্ত্রাস হয়েছে। অবাধে ভোট লুট হয়েছে। লাগামছাড়া হিংসা, রিগিং, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট হয়েছে।  পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিস এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোদ তুলেছে বিজেপি (BJP)।



এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, "রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের উপর আমাদের খুব একটা আস্থা নেই। তাও বলব আসানসোল-বিধাননগরে নির্বাচন হয়নি। তাই সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিলেব দাবি জানিয়েছি।" বিজেপির (BJP) দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম (CPIM)। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, "আমরা গতকালই এই দাবি জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের দালাললি করছে। পুলিস তৃণমূলের বাহিনীকে নিরাপত্তা দিয়েছে। কমিশন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করতে পারেনি।"


পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সংসাদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, " রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর কোনও দিনই ওদের আস্থা ছিল না। মামলার পর মামলা করেছে। এরপর মামলা করে বলবে কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনী আনলে হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে বিজেপির হয়ে ভোট কারতে হবে।"


আরও পড়ুন: 'অভিষেকের ইস্তফার হুমকির পর দলের সব পদ অবলুপ্ত করেছেন মমতা', টুইটে খোঁচা বিজেপি নেতার


আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি মেটার ইঙ্গিত, ফেসবুক থেকে সরল পুরভোটে TMC-র প্রথম প্রার্থী তালিকা