Duttapukur Blast: নিশানায় রাজ্যের শাসকদল, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি বিজেপি-র
`তৃণমূল মানুষের উপর আস্থা হারিয়ে বোমার উপর আস্থা রেখেছে। লুকিয়ে বোমা তৈরি হত, মরণাস্ত্র তৈরি হত। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। প্রত্যেক জেলায় জেলায় এই ঘটনা ঘটছে`।
মৌমিতা চক্রবর্তী: 'তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের উপর আস্থা হারিয়ে বোমার উপর আস্থা রেখেছে'। দত্তপুকুর বিস্ফোরণে কাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি তুলল রাজ্য বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, 'এত বোমা আসছে কোথা থেকে। এর দায়িত্ব নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দায়িত্ব নিতে রাজ্য সরকারকে। পুলিসকে দিয়ে তদন্ত করালে হবে না'।
আরও পড়ুন: Duttapukur Blast: জামিন পেয়ে ফের বাজি কারখানা চালু করে দত্তপুকুর বিস্ফোরণে অভিযুক্ত কেরামত!
ব্যবধান মাস তিনেক। ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ! এগরার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল দত্তপুকুরে। এদিন সাতসকালে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোচপুল পশ্চিমপাড়ায় একটি বাড়ি বাজির কারখানা ছিল। কারখানায় কাজ করতেন মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা।
বিস্ফোরণে সেই বাড়ি এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এমনকী, আশেপাশে যে বাড়িগুলি ছিল, সেই বাড়িগুলির বিভিন্ন অংশও! চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে দেহাংশ। বাজি কারখানায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৭। মৃতের তালিকায় ৮ বছরের এক বালক।
এদিন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা কোনও সাধারণ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নয়। সমস্ত জেলায় এই ধরনের অবৈধ কারখানা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল মানুষের উপর আস্থা হারিয়ে বোমার উপর আস্থা রেখেছে। তার প্রমাণ, পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা তৈরি করতে গেলে স্টোন চিপস লাগে। স্টোন চিপস পাওয়া যাচ্ছে, বিভিন্ন রাসায়নিক সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। লুকিয়ে বোমা তৈরি হত, মরণাস্ত্র তৈরি হত। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। প্রত্যেক জেলায় জেলায় এই ঘটনা ঘটছে'।
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ভয়বহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বাজি কারখানায়। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। গুরুতর আহত ৭। শমীকের প্রশ্ন, 'মুখ্যমন্ত্রী এগরায় দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন সমস্ত বাজি কারখানা নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি হবে। তাহলে এটা শুধুমাত্রই ঘোষণা ছিল? নাকি মুখ্যমন্ত্রী কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অধস্তন পুলিসকর্মীরা মানছে না'?
দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্য সরকার নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে বিরোধী দলনেতার ট্যুইট, '১৬ মে এগরার খাদিকুলে তৃণমূলের ভানু বাগের বোমা তৈরির ইউনিটে বিস্ফোরণের পর রাজ্য সরকার বাজি শিল্প নিয়ন্ত্রণে অনেক বড়সড় দাবি করে। জানানো হয়, রাজ্যে এরকম অবৈধ বাজি যাতে না থাকে, তা সুনিশ্চিত করা হবে। এখন মনে হচ্ছে মানুষের ক্ষোভ ও উদ্বেগকে প্রশমিত করতে সেটি প্রচারের কৌশল ছিল'।
পাল্টা ট্যুইট করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয় গুরুতর আহতদেরও। সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থাও।