নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলচর থেকে কলকাতায় ফিরেই বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ববির অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক উসকানির দেওয়ার জন্যই অসমে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি। ববি আরও বলেন, "বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ দল। এরা যেখানেই গিয়েছে, সেখানেই অশান্তি বাধিয়েছে"। আগামী দিনে দলনেত্রী নির্দেশ দিলে ফের অসমে যাবেন বলেও জানিয়েছেন ববি হাকিম। তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, (অসমের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে) দেশে আইনের শাসন আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভায় দলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দু শেখর রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিমানবন্দরের মেঝেতে বসে পড়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। ছবি- কমলিকা সেনগুপ্ত।


শুক্রবার সকালে তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ৬ জন ফিরেছেন কলকাতায়। ২ সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও অর্পিতা ঘোষ যাচ্ছেন দিল্লি। শিলচর বিমানবন্দরেই তাঁদের পিআর বন্ড সই করানো হয়। প্রতিনিধিরা গুয়াহাটি যেতে চাইলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। একরকম জোর করেই তাঁদের বিমানে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে বিমানবন্দরের ধর্মশালাতেই রাত কাটান তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। সেখানেও তাঁদের অসুবিধা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায়। আরও পড়ুন- মমতার বাঙালিপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নাসরিন


প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অসমে যায় তৃণমূলের ৬ সাংসদ, এক বিধায়ক এবং রাজ্যের এক মন্ত্রীর প্রতিনিধি দল। নাগরিক পঞ্জির খসড়ায় সে রাজ্যের ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় প্রথম থেকেই উচ্চগ্রামে প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে অসমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার শিলচর বিমানবন্দরে প্রতিনিধিরা পৌঁছতেই, তাঁদের সেখানেই আটকে দেয় অসম পুলিস। জানানো হয়, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এরপর তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা।



তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি। ছবি- কমলিকা সেনগুপ্ত।


এদিকে, তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের হেনস্থার অভিযোগ খারিজ করেছে অসম রাজ্য বিজেপি। উল্টে তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রতিনিধিদের হেনস্থার শিকার হয়েছেন মহিলা পুলিসকর্মীরা। তাঁদের চিকিত্সারও প্রয়োজন হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে তাঁদের এয়ারপোর্ট ছেড়ে যেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সেই বারণ তাঁরা শোনেননি, মন্তব্য অসম রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র রাজদীপ রায়। আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল অসম পুলিস