নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে আর রাজ্যপাল থাকবেন না। এবার থেকে আসন আলোকিত করবেন  মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। "তুঘলক বেঁচে থাকলে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন", সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা (Dr. Anupam Hazra)। পাল্টা 'ফেসবুক পার্টি' তোপ তৃণমূলের (TMC) কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার নবান্নে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, রাজ্যপালের বদলে রাজ্য়ের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদে এবার মুখ্যমন্ত্রী বসবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর বিল এনে তা পাস করানোর জন্য বিধানসভায় পাঠানো হবে। ওয়াকিবহলের মতে, আচার্যের পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী, এটা সম্পূর্ণই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের যে সমীকরণ, তারই ফলস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত।


এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা (Dr. Anupam Hazra)। তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ভাবে হাস্যকর। উনি নিজেকেই নিজেকে সাহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন। এরপর রাজ্যপালকে সরিয়ে উনি স্টেট ইউনিভার্সিটির আচার্য হবেন, তাও মন্ত্রিসভায় পাশ করালেন। এটা নজিরবিহীন এককথায়। ওঁর ছোটবেলার যা যা ইচ্ছে ছিল, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেগুলো পূরণ করছেন। অবাক হব না যদি নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী বলেন। কারণ ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খুব ইচ্ছে। আমার মনে হয় ইউজিসির উচিত স্টেট ইউনিভার্সিটির সমস্ত ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া। বিন তুঘলক বেঁচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে ওনাকে নিয়ে ইনসিকিওর ফিল করতেন।"



তৃণমূলের (TMC) তরফে Zee ২৪ ঘণ্টাকে পাল্টা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "ফেসবুক এবং টুইটারের বাইরে যাঁদের কোনও অস্তিত্ব নেই তাঁদের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন মনোনীত প্রার্থীর থেকে একজন নির্বাচিত প্রার্থী যদি দায়িত্বে আসে, তাহলে কার কী আপত্তি, তা তো বোঝা মুশকিল। আর রাজ্যপাল পদটাকে বিজেপি দলীয় পদে পরিণত করেছে। যা হয়েছে, তা ঠিক। টুইটার পার্টি আর ফেসবুক পার্টি কী বলল , তার সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।"


জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে এই সুপারিশ করেছিল পুঞ্ছি কমিশন। রাজনাথ সিং ছিলেন সেই কমিশনে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও কেরল, এই বিধি গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে মদনমোহন পুঞ্ছির নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালে কমিটি রিপোর্ট দেয়। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা-সহ একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি। একগুচ্ছ সুপারিশের মধ্যে এই সুপারিশটিও ছিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)