নিজস্ব প্রতিবেদন: কেউ চাল, ডাল দিচ্ছেন। কেউ বিস্কুট, মুড়ি। করোনা সঙ্কটে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন শাসক-বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। শুরুটা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসই। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গরিবদের হাতে ত্রাণসামগ্রী বণ্টনে নজরদারি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতারাও যে যেমন পারছেন রাস্তায় মেনে পড়েছেন। ত্রাণবিলি করার ফাঁকে আসল উদ্দেশ্য জনসংযোগ ঝালিয়ে নেওয়া। তা এহেন 'মানবসেবা'র রাজনৈতিক কম্পিটিশনে একেবারে ভিন্নপথ ধরেছেন বেলঘরিয়ার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি রতন পোদ্দার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিকিকিনি বাদে সবই বন্ধ। লকডাউনে ছাড় নেই ক্ষৌরকর্মে। বাড়িতে দাড়ি, গোঁফ ম্যানেজ হলেও চুল তো আর নিজে নিজে কাটা যায় না। অনেকের আবার পাড়ার সেলুনেই (স্যালোঁ নয়) দাড়ি কাটার অভ্যাস। সেখানে ২০-৩০ টাকা দিলে গোঁফ, দাড়ি কাটার সঙ্গে মেলে ফ্রি ম্যাসাজ। ফলে লকডাউনে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন এক শ্রেণির মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে চলছে তুমুল রসিকতা। ভাইরাল হয়েছে নানা ধরনের মিম। এমন সঙ্কটকালীন সময়ে 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' মন্ত্র জপ করে এগিয়ে এসেছেন বেলঘরিয়ায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির নাম রতন পোদ্দার। চেনা পরিচিতদের চুল, দাড়ি কেটে দিচ্ছেন তিনি। একটা টাকাও নিচ্ছেন না। সবটাই বিনামূল্যে।  লকডাউনের বাজারে কয়েক জনের কাছে তিনি সাক্ষাত্ 'ঈশ্বরের রূপ'। এই বাজারে বিনামূল্যের এমন পরিষেবা দিলে তো তাই বলতে হয়। তার উপরে জাভেদ হাবিবের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রতন পোদ্দার। মানে, বিনা পয়সায় স্পেশালিস্ট হেয়ারকাটিং!   



নিঃসন্দেহে সাধু উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন তো উঠছেই। কোনওরকম নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না রতনবাবু। মুখের মাস্ক ঝুলছে গলায়। সামাজিক দূরত্বেরও বালাই নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই বারবার সচেতন করছেন জনসাধারণকে। লকডাউন মেনে চলার বার্তা দিচ্ছেন। রতন পোদ্দার কি প্রধানমন্ত্রীর কথার অমান্য করলেন না? নিজের কীর্তির ভিডিয়ো তুলে  জনসংযোগ সারতে গিয়ে কি মানুষের জীবন বিপন্ন করছেন না? এনিয়ে রতন পোদ্দারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  


আরও পড়ুন- 'কাঁদো দেশবাসী কাঁদো', প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দিশাহীন বলে কটাক্ষ চিদমম্বরদের