‘কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছে তৃণমূল`
সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই এমন ১৪টি প্রকল্পকে চিহ্নিত করেছে যেগুলো না কি আসলে কেন্দ্রের।
অঞ্জন রায়
বেনজির অভিযোগ। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আর কোনও বিরোধী নেতাই করেননি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে নিজেদের নামে চালাচ্ছে। আর এতে ধ্বংস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো।
সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই এমন ১৪টি প্রকল্পকে চিহ্নিত করেছে যেগুলো না কি আসলে কেন্দ্রের।
কেন্দ্র: বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও
রাজ্য: কন্যাশ্রী
কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা
রাজ্য: নিজশ্রী/বাংলার বাড়ি/ আমার ঠিকানা/ বাংলার আবাস যোজনা
কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা
রাজ্য: বাংলার গ্রামীন সড়ক যোজনা
কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম আবাস যোজনা
রাজ্য: বাংলা গৃহ প্রকল্প
কেন্দ্র: স্বচ্ছ ভারত মিশন
রাজ্য: মিশন নির্মল বাংলা
কেন্দ্র: অজীবিকা (জাতীয় গ্রামীন শৈশব মিশন)
রাজ্য: আনন্দধারা
কেন্দ্র: আয়ুষ্মান ভারত
রাজ্য: স্বাস্থসাথী
কেন্দ্র: স্কিল ইন্ডিয়া
রাজ্য: উত্কর্ষ বাংলা
কেন্দ্র: মনরেগা (মহত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট)
রাজ্য: কর্মশ্রী
কেন্দ্র: জন ওষুধী
রাজ্য: ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান
কেন্দ্র: জহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন
রাজ্য: বাংলাশ্রী
কেন্দ্র: ন্যাশনাল স্কলারশিপ
রাজ্য: শিক্ষাশ্রী
কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা
রাজ্য: সবার ঘরে আলো
কেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী কষি সেচ যোজনা
রাজ্য: সেচ বন্ধু
এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পগুলোই না কি রাজ্য নিজেদের নামে চালাচ্ছে, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তাঁর আরও অভিযোগ সরকারি রাজকোষ খরচ করে দলের প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকেও দলীয় প্রচার বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর এই ইস্যু সামনে রেখেই এবার জেলায় জেলায় কর্মসূচি নিয়েছি ভারতীয় জনতা পার্টি। নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই জেলা নেতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের এই কারচুপি নিয়ে প্রচার কর্মসূচি শুরু করতে। যদিও সেই কর্মসূচি নিয়ে এখনও কোনও তত্পরতা দেখায়নি কোনও জেলাই।