নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা রাজ খতম। দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই‌। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় ভাল আসন পাবে বিজেপি। কলকাতায় এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন দাবি করলেন দুষ্যন্ত গৌতম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দুষ্যন্ত গৌতম।  এ দিন কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেছেন। বিজেপির পুরনো ও নতুন নেতাদের কথাও শুনছেন দুষ্যন্ত। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ''দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মমতা রাজ খতম।''


সূত্রের খবর, গৌতম দুষ্যন্ত জোর দিয়েছেন,নতুন-পুরোনো দ্বন্ধে সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিজেপি ও সমন্বয়ে। সংঘাত সরিয়ে অগ্রসর হতে চান তিনি। তৃণমূল থেকে তাদের নেওয়া যায়, সে নিয়ে মতামত চান গৌতম। কামেশ্বর তিওয়ারি,জয়প্রকাশ মজুমদার, সব্যসাচী দত্ত-সহ শতাধিক নেতার মতামতের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করবেন। সেই রিপোর্ট দিল্লিতে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডাকে দেবেন। 


চলতি মাসেই দু'দিনের সফরে বাংলায় এসেছিলেন অমিত শাহ। বিধানসভা ভোটে ২০০টি আসন জয়ের টার্গেট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরই কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি একটি জোনের দায়িত্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন হরিশ দ্বিবেদী। বিনোদ তাওড়েকে দেওয়া হয়েছে নবদ্বীপের দায়িত্ব। বিনোদ সোনকার রাঢ়বঙ্গ ও দুষ্যন্ত গৌতম কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধরকে। 


এ দিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশানা করে তৃণমূলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন,''বহিরাগতরা আসছেন। যে কোনও প্রদেশের হোক না কেন, বাংলার মানুষকে সকলকে স্বাগত জানায়। কিন্তু যদি বহিরাগতরা অদ্ভূত স্বপ্নকে লালচক্ষু দেখিয়ে বাস্তবে করার কথা ভেবে থাকেন, তা মেনে নেবে না।'' তার পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন,''ওদের শোনার দরকার নেই আমাদের নেতা আমরা শুনব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই তো কেউ শুনছে না। আপনারা দল সামলান, আমরা পশ্চিমবঙ্গ সামলে নেব।''


আরও পড়ুন- পিকে কে? চন্দ্রিমার 'বহিরাগত'-র পাল্টা দিলীপের; এটা পশ্চিম বাংলাদেশ?: জয়প্রকাশ