করোনার রোধে জোর করে গোমূত্র পান করিয়ে গ্রেফতার হলেন রাজ্যের BJP নেতা
সোমবার বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এক হাতে পিতলের ঘটি অন্য হাতে গোমূত্রের বোতল হাতে প্রচার চালান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্তব্যরত পুলিস কনস্টেবলকে অন্ধকারে রেখে খাওয়ানো হয়েছে গোমূত্র। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্য়ায়কে। দুপুরে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় জোড়াবাগান থানা। সন্ধেয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সেখানেই গ্রেফতার হন নারায়ণ।
সোমবার বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এক হাতে পিতলের ঘটি অন্য হাতে গোমূত্রের বোতল হাতে প্রচার চালান। ধরে ধরে সকলকে গোমূত্র পান করিয়েছেন বিজেপি নেতা। এক পুলিস কনস্টেবলের অভিযোগ, কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁকে না জানিয়েই খাওয়ানো হয়েছে গোমূত্র। তাঁর বিরুদ্ধে গোমূত্র খাইয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
বির্তক হলেও বিজেপি নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। সংসদে চত্বরে দিলীপবাবু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সবাই কখনও না কখনও গোমূত্র খেয়েছে। আমাদের পুজোপাঠ হয়, পঞ্চমৃত হয়, সেখানে প্রসাদে সেটা দিতেই হয়। সবাই না জেনে কখনও না কখনও খেয়েছেই। এখন নাক সিঁটকাচ্ছে। কিছু লোকের এরকম অভ্যাস আছে, করে এক বলে এক। আর কেউ কাউকে জোর করে গোমূত্র খাওয়াবে না। খাওয়ানোর অধিকারও কারও নেই। এসব নাটকবাজি। বিজেপির বিরোধিতা করার জন্য করা হচ্ছে। সবাই গোমূত্র খায়। পরিস্থিতি এলে আবার খাবে।''
কাউকে জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে না বলেও দাবি করেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়,''কাউকে ঘাড় ধরে খাওয়ানো হচছে না। যার বিশ্বাস আছে খাবে। বহু ওষুধ যুগযুগ ধরে চলে আসছে। এটাও এক ধরণের ওষুধ। আমাদের মোরারজি দেশাই তো নিজের মূত্র খেতেন। যাঁরা জানে না কিছু, অর্বাচীন আছে, তাঁরা নতুন জিনিস শুনলে হজম করতে একটু দেরি হয়। যাঁদের কোনও জ্ঞান নেই। তাঁরাই বিজ্ঞানের ঠেকা নিয়েছে। তাঁদের কথা সমাজে কেউ গুরুত্বও দেয় না। ফলে গোমূত্রে কী আছে তা নিয়ে তাঁদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভাঙার দরকার নেই।''
দিলীপের ঘোষের সংযোজন, এরা গোমূত্রও খায় না, গোদুগ্ধও খায় না। যাঁরা গোমাংস খাচ্ছে, সেদিকে তাকান কীভাবে মরছে। এদের মরেও শান্তি নেই। হিন্দু সমাজ গরুকে পুজো করে, পবিত্র আমাদের কাছে, রোগনাশক।
আরও পড়ুন- সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা, ভারতের হাতে সময় ৩০ দিন