নিজস্ব প্রতিবেদন: 'শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারে ২ জন এমপি, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান আছেন। সেটা সবাই জানে, নতুন করে বলার দরকার নেই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কোন দলে ছিলেন?' রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। তাঁর চাঁচাছোলা প্রতিক্রিয়া, 'বাবা-ছেলে কী এমএলএ হতে পারে না? সংবিধানে কি বাধা আছে? চাইলে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) সংসদে বিল আনতেই পারেন। পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডা সেট করতে পারছে না। এসব কথা বলে মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা ভোটের তৃণমূলে ভাঙন। গেরুয়াশিবিরে যোগ দেওয়ার পর পরিবারতন্ত্রকে হাতিয়ার করে বারবার পুরনোর দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রাক্তন নেতা-নেত্রীরা। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বা পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণটা প্রথম শুরু করেছিলেন, তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপিতে এসেছেন তাঁরা। আবার বিজেপি এলেই গদ্দার বলা হচ্ছে। বাংলার মানুষ এই বিতর্কে খুব এটা পৌঁছাতে চায় না। বাংলার মানুষের কাছে এখন প্রধান ইস্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। রাজ্যের আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে প্রশ্নের মুখে, যেখানে আমাদের ১৩৭ জন কর্মী খুন হয়ে গিয়েছে।  তখন কার পরিবারে ক'টা এমপি আছে, সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। কোনও পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডা সেট করতে পারছে না। বিজেপি কোনও বিষয়ে কথা বললেই, পাল্টা সভা করছে। পুরোপুরি রিঅ্যাকটিভ মুডে চলে গিয়েছে। এসব কথা বলে মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে।'


আরও পড়ুন: ৩১-এর ৩১টি আসনেই তৃণমূল জিতবে, কুলতলির সভামঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ Abhishekএর


উল্লেখ্য, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির সভা থেকে পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে সরাসরি কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বলেন, 'বারবার যে পরিবারতন্ত্রের দোষ দেওয়া হয়, আমি চ্যালেঞ্জ করছি কেন্দ্র সংসদে বিল আনুক, প্রতিটি পরিবার থেকে একজন সদস্য রাজনীতিতে আসুক। আমি তাতে প্রথম ভোট দেব এবং তারপরেই রাজনীতি ছেড়ে দেব। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন আমাদের পরিবার থেকে।' রীতিমতো নাম করে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মুকুল রায় (Mukul Roy), কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের (Kailash Vijayvargiya)।