নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ব্রিগেডে একবারও বন্দেমাতরম স্লোগান উঠল না'। বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে এবার ধর্মীয় মেরুকরণের পাল্টা অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বললেন, 'ভাইজানের কাছে যেন আত্মসমর্পণ করেছে বাম-কংগ্রেস'। নিজেদের স্বার্থে 'সাম্প্রদায়িক শক্তি'-কে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে নিশানা করলেন তৃণমূলকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের ভোটে লড়াই ত্রিমুখী। বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে বাম ও কংগ্রেস। সেই জোট সামিল পীরজাদার আব্বাস সিদ্দিকি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF-ও। বস্তুত, এদিন ব্রিগেডে মধ্যমণি ছিলেন 'ভাইজান'-ই। ফেজ টুপি পরে মঞ্চে ওঠামাত্রই জনগণের 'গর্জন' বুঝিয়ে দিল, আগামী নির্বাচনে 'খেলা' ওলটপালট করে দিতে সক্ষম আইএসএফ (ISF)। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হল যে, ভাষণ থামাতে কার্যত বাধ্য হলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri)। ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আব্বাস সিদ্দিকির হুঙ্কার,  'বিজেপি সরকার ও বিজেপির বি টিম মমতাকে বাংলাকে উৎখাত করে ফেলব। চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, একুশে মমতাকে জিরো করে দেখিয়ে দেব।'


আরও পড়ুন: আব্বাসের বেলায় উঠে দাঁড়াল, অধীরের ক্ষেত্রে নয়, জোট-জটে কটাক্ষ Firhad-র


এই নয়া রাজনৈতিক সমীকরণকে কী চোখে দেখছে বিজেপি (BJP)? দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) বক্তব্য, 'কংগ্রেস ও বামেরাও কার্যত ভেন্টিলেশনে আছে। সেকারণেই তৃতীয় একটি শক্তিকে তুলে আনা হল'। তাঁর কথায়, 'ধর্মনিরপেক্ষতার নামে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এ রাজ্যে জমি তৈরি দেওয়া হচ্ছে। গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের স্মৃতির ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করছে বাম ও কংগ্রেস'। এখানেই শেষ নয়। বঙ্গ বিজেপির পোড়খাওয়া এই নেতার দাবি, 'এ রাজ্যে যদি তৃণমূল যদি সংখ্যাগরিষ্টতা না পায়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবেন আব্বাস। সেই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি। তখন বলবেন, আমরা তো বিজেপি বিরোধী। তাই জোট করলাম'। যদিও এই নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।