`কেন্দ্রীয় দল কোথায়, কী করছে, জানি না, ওরা দেখা করতে চাইলে দেখা করব, সব জানাব`
আমরা যা পেয়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে ভিডিয়ো, কত মারা গিয়েছে, লকডাউন মানা হচ্ছে না, সেইসব ছবি-ভিডিয়ো ওই দলের কাছে পাঠিয়ে দেব।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'কেন্দ্রীয় দল কোথায় যাচ্ছেন, জানি না। কোনও কথা হয়নি।' রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন প্রসঙ্গে বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি জানান, "কেন্দ্রীয় দল আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় দল তাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করেনি বা তাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি। ওদের সাথে কোনও কথা হয়নি আমাদের। তাই কেন্দ্রীয় টিম কী করছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছি।"
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই রাজ্যে এসেছে জোড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলগুলির একটির কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর ঘুরে দেখার কথা। অন্যটির দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং ঘুরে দেখার কথা। কিন্তু এভাবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আসা নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যসচিবও।
এরপরই এদিন সকাল থেকে চোখে পড়ে কলকাতা পুলিসের তৎপরতা। সূত্রে খবর, গতকাল রাতে গুরুসদয় রোডে বিএসএফ-এর দফতরে ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন সকালে সেখান থেকে একবার ১০ মিনিটের জন্য বেরিয়েও তারপর ফের ভিতরে ঢুকে যান তাঁরা। এরপরই সেখানে আসেন ডিসি এসএসডি দেবস্মিতা দাস। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই কলকাতা পুলিসের তৎপরতা আরও বাড়ে। শুরু হয় নাকা চেকিং।
যদিও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কোথায় আছেন, তা তাঁদের জানা নেই বলে। তিনি বলেন, "আমরা চাইব, ওরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখুক। তারপর আমরা যা পেয়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে ভিডিয়ো, কত মারা গিয়েছে, লকডাউন মানা হচ্ছে না, সেইসব ছবি-ভিডিয়ো ওই দলের কাছে পাঠিয়ে দেব। তারপর তারা দেখা করতে চাইলে আমরা যাব।"
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিজেপি নেতারা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শিব প্রকাশের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগাযোগ দায়িত্ব দেওয়া হয় সাংসদ ও দলের সহ সভাপতি ডাক্তার সুভাষ সরকারকে।
আরও পড়ুন, পুলিসের স্টিকার লাগিয়ে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা, নাকা চেকিংয়ে রোগী সমেত গাড়ি