অঞ্জন রায়: মেটিয়াবুরুজে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সঙ্ঘের কর্মী বীরবাহাদুর সিং। বুধবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে গার্ডেনরিচে জনসভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু জনসভাতে যাওয়ার পথে বিজেপি নেতাদের আটকে দেয় পুলিস। জানিয়ে দেওয়া হয়, সভা করা যাবে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মেটিয়াবুরুজ থানা থেকে একশো মিটার দূরে গুলিবিদ্ধ হন আরএসএস কর্মী বীর বাহাদুর সিং। তাঁর পিঠে লেগেছিল দুষ্কৃতীদের গুলি। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বীর বাহাদুর। ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে যাচ্ছেন মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত ও  অনুপম হাজরা। কিন্তু খিদিরপুরে তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। প্রশাসন জানিয়ে দেয়, গার্ডেনরিচে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না। তার প্রতিবাদে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি নেতৃত্ব। 
 ‌ 
মুকুল রায়দের ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। চলে 'গো ব্যাক' স্লোগানও। খানিকক্ষণ পরে ওই এলাকা ছাড়েন মুকুল রায়। যাওয়ার আগে জানিয়ে দেন, সভা হবে না। 



মেটিয়াবুরুজে সঙ্ঘ কর্মীকে গুলি করার ঘটনাটি লোকসভাতেও তুলেছে বিজেপি। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেছেন দলের সাংসদরা। রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলর রহমত আনসারির বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে জামাই আদরে রেখেছে পুলিস। গ্রেফতার করা হচ্ছে না গুলিচালনায় অভিযুক্তদের। কৈলাস অভিযোগ করেছেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র মিনি পাকিস্তান। আর সেই মিনি পাকিস্তানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিজেপির কর্মী। মেটিয়াবুরুজে ওই বস্তিতে ৫০০টি হিন্দু পরিবার থাকে। তাদের চারদিক থেকে ঘিরে বাস করে মুসলিমরা। হিন্দুদের ঘরছাড়া করার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  


আরও পড়ুন- জানুয়ারিতেই ব্রিগেডে সমাবেশ করবে AIMIM, আসছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি