শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রবীর চক্রবর্তী: পঞ্চায়েতের আগে কি দরজা খুলল তৃণমূল? ঘাসফুল শিবিরে এবার নাম লেখালেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। 'ক্যামাক স্ট্রীটের দরজায় অপেক্ষায় আছেন আরও ১৩ জন', টুইট করলেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যবধান মাস খানেকের। ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথায়? শুভেন্দুর অধিকারীর বাড়ির শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে। সেই সভায় অভিষেক বলেন, 'আমরা যদি দরজা খুলি, বিজেপি দল থাকবে না। বলুন দরজা খুলব? খুলব?  আগামী সপ্তাহে খুলি, ৫ সেকেন্ডের জন্য, তারপর বন্ধ করে দেব'। সঙ্গে বার্তা, 'দরজা দিয়ে ঢুকবে, প্রায়শ্চিত্ত করবে, দলের জন্য কাজ করবে। আর কোনও কর্মীর মাথায় উপরে বসে যাতে ছড়়ি ঘোরাতে না পারে, সে দায়িত্ব আমার'। 


এদিন অভিষেকের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। 


 




উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে পদ্ম-প্রতীকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্য়াণী। শাসকদলের যোগ দেওয়ার পর, তিনি এখন বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্সস কমিটি চেয়ারম্যান। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দল ছাড়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা।


 



চুপ করে থাকেননি শুভেন্দুও। তাঁর টুইট, 'দলত্যাগ বিরোধীকে আইনের ভয় পাচ্ছেন? পতাকা কেন দিচ্ছেন না? বিধানসভায় মুকুল রায়কে যেমন বিজেপি বিধায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী, তেমনি সুমন কা়ঞ্জিলালও নিজেকে বিজেপি বিধায়ক বলে দাবি করবেন'।


 



এর আগে, খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণকে নিয়ে জল্পনা চলছিল। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল একটি ছবি। যে ছবিতে  ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির সঙ্গে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল হিরণকেও। তবে তাঁর জন্য় আপাতত তৃণমূলের দরজা বন্ধ। কেন? সূত্রে খবর, অভিষেক ও দলকে আক্রমণ করার জন্যই হিরণকে তৃণমূলে নেওয়া হবে না। এমনকী, সেকথা নাকি তাঁকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। স্রেফ তৃণমূলে যোগের জল্পনা খারিজ নয়, তাঁর ছবি বিকৃত করারও অভিযোগ করেছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক।



Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)