নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে বিজেপি যখন তৃণমূলের 'ঘর ভাঙতে' ব্যস্ত, একে একে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মন্ডল, শীলভদ্র দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বৈশালি ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, দীপক হালদার প্রমুখ, তখন পদ্মশিবিরকেও বেশ 'বড়সড় ধাক্কা' দিল ঘাসফুল। আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায়। এদিন তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সৃজন রায়। তিনি বলেন, "এটা একেবারেই পরিবারতন্ত্র নয়। মুকুল রায়ের আত্মীয় বলে আলাদা কিছু নয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে বুথ স্তরে, ব্লক স্তরে কর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি। এটা আমার চেনা মাঠ। সেই মাঠেই আবার নেমে পড়ব। কোনও অসুবিধা হবে না।" বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের শ্যালককে দলে টেনে তৃণমূল যে পাল্টা চাল দিল, তা বলাই বাহুল্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে নিশানা করে CAA নিয়ে তোপ দাগেন ব্রাত্য বসু। বলেন, "মতুয়া সম্প্রদায়কে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। বিভাজনের রাজনীতি চলছে। CAA নিয়ে কেন্দ্র কী করছে, আমরা জানতে চাই। মতুয়াদের জীবন নিয়ে কেন খেলা করছেন? মতুয়াদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন। নদিয়ায়, বাগদায়, হেলেঞ্চাতে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। গুজরাটের সিলেবাসে মতুয়াদের জন্য কিছু নেই। তবে বাংলার পাঠ‍্যক্রমে মতুয়াদের জন্য সিলেবাস রাখা হয়েছে।" প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই কেন্দ্র জানায় যে, দেশজুড়ে এখনই চালু হচ্ছে না এনআরসি (NRC)। একইভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও(CAA) এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। বরং তা কার্যকর করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরও ৩ মাস। 


একইসঙ্গে এদিন ব্রাত্য বসু রাজ‍্যপাল জগদীপ ধনখড়ের 'রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন' চাওয়ার প্রসঙ্গেও কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, "উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলা হয় না। দিল্লি কৃষকরা রাস্তায় বসে আছেন, তখন রাজ‍্যপাল কিছু বলেন না, ফিল করেন না। রাষ্ট্রপতি শাসন চান না।" কটাক্ষ করেন বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচিকেও। বলেন, "লালকৃষ্ণ আডবাণী যিনি রথযাত্রা শুরু করেছিলেন, তাকেই বিজেপি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে!" আরও বলেন, "রথযাত্রা করছেন, অথচ চৈতন্যের নাম নিচ্ছেন না! এখানে চৈতন্যকে অপমান করতে পারবেন না।"


আরও পড়ুন, 'সোনার ডিমের জন্য হাঁসটা মেরে ফেলেছি, বলছেন ত্রিপুরাবাসী', BJP-কে তীব্র আক্রমণ Manik-এর


Rath Yatra-র অনুমতি নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে, BJP-কে জানিয়ে দিল Nabanna