কলকাতা: "মমতাকে বলে দিন, এসব ভালো হচ্ছে না। আমারা পার্টি অফিসে বসেছিলাম। হঠাৎ তৃণমূলের গুণ্ডারা ইট ছুঁড়তে শুরু করে। আমাদের অনেক কর্মী আহত, অনেকের মাথা ফেটেছে। পুলিসকে খবর দিলেও তারা কিছু করতে পারছে না", প্রতিক্রিয়া আহত বিজেপি কর্মীর। রোজভ্যালি কাণ্ডে সুদীপ গ্রেফতার হতেই আক্রান্ত রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। তৃণমূলের আরও এক সাংসদ তাপস পালের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে CBI। আর গ্রেফতার হওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই বিজেপি অফিসে হামলা চালাল তৃণমূল সমর্থকরা। ৬নং মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে হঠাৎ হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মীরা। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, ঘটনায় আহত অন্তত ১৭ জন। ইট বৃষ্টির ভয়ে মাথা বাঁচাতে বিজেপি অফিসের ভিতরেই হেলমেট পরে রয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ইট বৃষ্টিতে জখম জোড়াসাঁকো থানার ওসি অমিত রক্ষিত।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 


এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। "এই বাংলায় নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। গুন্ডা বদমাইসরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে", প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের। রাজ্য বিজেপির সভাপতির সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী বললেন, "হামলাকারীদের  পুলিস ধরছে না, কারণ এদের প্রত্যেকের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে। সিবিআই যা করছে ঠিক করছে, মানুষের টাকা যারা লুঠ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই ঠিকই করেছে। আর তার জন্য এই ধরনের আচরণ! আমরাও এত সহজে ছেড়ে দেব না"। 


 


 


মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি হুমকির মিনিট কুড়ির মধ্যেই পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী, "ওনার তো সততার ইমেজ আছে। উনি চিটফাণ্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত সাংসদদের নিজে থেকেই গ্রেফতার করিয়ে দিতে পারতেন। এটা ওনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সততার ইমেজের সঙ্গে যাচ্ছে না"।  


 


 


তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাহুল সিনহাও। "এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসিটিভি আছে। তাই দোষীদের ধরা খুব একটা কঠিন হবে না। বিজেপি কর্মীদের ধৈর্য্য ধরে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে হবে", মন্তব্য রাহুল সিনহার।