`সবটা মিথ্যে, ১ শতাংশ কাজ,` তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা বিজেপির ফেল কার্ড!
`তৃণমূল যে গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান মানুষের সামনে পেশ করেছে, তা সত্যের থেকে বহুদূরে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা ফেল কার্ড প্রকাশ করল বিজেপি। ফেল কার্ড প্রকাশ করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে না, সবদিক থেকেই ১০টা বছরের অপচয়। বলেন, "তৃণমূলের ১০ বছরের ব্যর্থতা একটা বুকলেটের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।"
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু রুটিন ইনভেস্টমেন্ট আর কিছু মউকে সামনে এনে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যা দেখানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বা শিল্পমন্ত্রীর তরফ থেকে আসলে তার ১ শতাংশ হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে বামফ্রন্টের আমলে এবং তারপর তৃণমূলের ১০ বছর যদি ধরা হয়, তাহলে সবটা পরিষ্কার বোঝা যাবে। তৃণমূল যে গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান মানুষের সামনে পেশ করেছে, তা সত্যের থেকে বহুদূরে।" দাবি করেন, "আমাদের রাজের স্টেট জিডিপি ৩২-এর মধ্যে ৩১। আজকে এই সরকার যখন ক্ষমতা থেকে চলে যাবে, তখন প্রতি শিশুর মাথায় যে ঋণের বোঝা দাঁড়াবে সেটা হল ৬৫০০০ টাকা। ব্যক্তি পিছু আয় ৩২-র মধ্যে ২২। এমএসপি কন্ট্রোল করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সরকার কিছু করছে না। পরবর্তী সরকারের মাথার উপর ৫০০০০০ কোটি টাকার ঋণ।"
একইসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন, "গত ২ দিনে আমাদের দুজন কর্মী খুন হয়েছেন। ১৯৭২-এর ঘটনা মানুষের কাছে পরিচিত। কংগ্রেস যে হিংসার রাজনীতি শুরু করেছিল, আজ এত বছর পরেও বাংলা তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তৃণমূলের রাজনীতি দখলদারির রাজনীতি। এই সরকার সর্বগ্রাসী সরকার। বিরোধী কণ্ঠ রোধ করে। এই সরকার রাইট টু ডিসেন্টে বিশ্বাস করে না। উন্নয়ন থেকে দূরে সরে এসে প্রাদেশিক হিংসার রাজনীতি করছে। হিন্দু মুসলিম করছে, তারপর বোর্ড ইত্যাদি তৈরি করে বিভাজন করছে, এবার বাংলাভাষী-হিন্দিভাষী ভাগ করছে।"
পাশাপাশি আরও বলেন, "আমরা বহু ফসলি জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা অন্ধ টাটা বিরোধিতার পক্ষে নই। বাংলায় জমি বেশিরভাগই চাষযোগ্য জমি। স্বাভাবিকভাবেই জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে চাষের জমিই নিতে হবে। আমরা জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতার পক্ষে নই। আমরা অল্প জায়গায় sez-র পক্ষে।" ফেল কার্ড প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। টুইটারে তিনি তোপ দাগেন,
আরও পড়ুন, জেল থেকে বেরনোর পর গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাবেন উত্তরপ্রদেশের মত : সায়ন্তন