নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির রথযাত্রাকে অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এদিন হাইকোর্টে এজি বলেন, "বিজেপি যে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা বলেছে, তাতে কিছু অ্যাজেন্ডা আছে। শেষ অ্যাজেন্ডায় বলা আছে তৃণমূল সাম্প্রদায়িক। হিন্দুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এরপর কীভাবে এই যাত্রাকে অনুমতি দেওয়া যায়? আদালতের কাছে সেই প্রশ্ন তোলেন এজি। উত্তরে বিচাপতি বলেন, "তাহলে কিছু শর্ত দিতে পারতেন। আগে থেকে কেন অনুমান করছেন? যখন আপনাদের ক্ষমতা আছে?" বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, "রিপোর্টে সব উল্লেখ করা হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত আদালত নেবে।" আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি।


আরও পড়ুন, অক্ষম! মৃত্যুর অপেক্ষায় ৯০ বছরের 'বৃদ্ধ' ৩ নম্বর


এদিন শুনানির সময় এজি বলেন, "একটি জেলা নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। এখন আমাদের কাছে প্রতি জেলার রিপোর্ট আছে। আজ সেই রিপোর্ট কোর্টকে দেব।" এরপরই কার্যত এজির মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, "শুধু গোয়েন্দা রিপোর্ট বললে তো কোনও র‍্যালিকেই অনুমতি দেওয়া যায় না!"


প্রসঙ্গত, লালবাজারে বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের ভিডিও আজ হাইকোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে। মঙ্গলবার শুনানি শেষে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের মূল আপত্তি, বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' কর্মসূচি ৪২দিনের। এতদিন ধরে কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। রথযাত্রার নিরাপত্তায় ৫০০০ পুলিস কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে, তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন, কলকাতা পুরসভার উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল, অনেক ভোট কমল বিজেপির


এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য ওই জায়গা থেকে রথযাত্রার সূচনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। রয়েছে পৌষ মেলাও। এর মাঝে আবার ২৫ থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে থাকবে আনন্দের আবহ। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সামাজিক উত্সবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মত রাজ্যের।


সূত্রের খবর, জেলার পুলিস সুপাররা নবান্নকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ। সেই সব এলাকা দিয়ে রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সভা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই।