অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের পর শুরু হয়েছিল দলবদলের হিড়িক। কিন্তু কাউন্সিলর ভাঙিয়ে আনতে পারলেও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মনিরুল ইসলামের মতো মুখকে দলে আনার পর উঠেছিল নানা প্রশ্ন। আর এতে মুখ পুড়েছে রাজ্য বিজেপির। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন দিলীপ-মুকুলরা। তৃণমূলের এক মহিলা সাংসদ ও এক অধ্যাপিকা দলে যোগ দিতে চাইলেও 'নো এন্ট্রি' বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজেপি। 


দল বদলাতে চেয়ে বিজেপির একাধিক নেতাকে ফোন করেছেন তৃণমূলের এক সাংসদ। ফোন এসেছে রাজ্য রাজনীতির আলোচিত এক অধ্যাপিকারও। কিন্তু তাঁদের জনসমর্থন তেমন নেই। ফলে দলে নিয়ে লাভ কী? বিজেপি নেতারা মনে করছেন, সব্যসাচী দত্ত বা শোভন চট্টোপাধ্যায় এলে তাঁদের অনুগামীরা আসবেন। এর পাশাপাশি দুই নেতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো হবে। কিন্তু যাঁদের রাজনৈতিক জনভিত্তিই নেই, তাঁদের নিয়ে বোঝা বাড়ানোর কী দরকার? 


এব্যাপারে বিজেপির এক সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, অনেকেই আসতে চাইছেন। অনেকে আসবেনও। কাকে নিলে লাভ হবে, তা ভেবে দেখে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।


লোকসভা ভোটের পর সাত দফায় তৃণমূল ভাঙার ঘোষণা করেছিলেন মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর সেটা করতে গিয়ে একাধিক পুরসভার কাউন্সিলরদের দলে টেনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে হয়েছে হিতে বিপরীত। কাউন্সিলরদের ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। তার উপরে যে নেতাদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের জনসমর্থন কতখানি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, দাগীদের দলে নেওয়ার পর তো লোকে তো বলতে শুরু করেছে, তৃণমূলকে সরিয়ে লাভটা কী? সেই তো এক মুখ। তাই এবার থেকে মেপে পা ফেলতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। 


আরও পড়ুন- সাত দফায় তৃণমূল ভাঙার পরিকল্পনায় বাঁধ, মুকুলের 'ভাটপাড়া' মডেল হিমঘরে