অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকবল নেই। সংগঠন নেই। আন্দোলন নেই। তাই, বাংলায় বিজেপির কোনও  চান্সই নেই।  এমনই ভাষায় ক’দিন আগে বিজেপিকে হেয় করে দীলিপ ঘোষ, মুকুল রায়দের বিঁধেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ২৮ অগাস্ট,  তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও একই সুর ছিল যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়ও। সঙ্গে ছিল মেদিনীপুরে মোদীর সভায় শামিয়ানা ভেঙে পড়ার টিপ্পনিও। এবার তৃণমূলের এই সুরে সুর মিলিয় ফেলল কেন্দ্র বিজেপির শীর্ষনেতারাও।


শোনা যাচ্ছে, বাংলা দখলে রাজ্য বিজেপির ‘নিষ্ক্রিয়তা’ একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না শীর্ষ নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের  জঙ্গি আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই ঝাঁঝ তো দূর, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সে রকম ভাবে জোরালো আন্দোলনই তৈরি করতে পারছেন না রাজ্য নেতারা।


আরও পড়ুন- ‘বিজেপি-কে বধিবে যে, বঙ্গে বাড়িছে সে’ 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমারের খুনের ঘটনায় কেন তত্পর হতে পারল না রাজ্যের নেতারা, তার জবাবদিহি চাইল দিল্লির নেতারা।  বিজেপি সূত্রের খবর, ২৯ অগাস্ট অটল স্মরণের পরই না কি রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের একহাত নিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ‘কলকাতা অচল করে দেওয়ার’ মতো নির্দেশ ছিল সেখানে একটা অবস্থান বিক্ষোভ ছাড়া কিছুই করতে পারেনি রাজ্য নেতারা। যেখানে স্বয়ং শাহ (অমিত) এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিয়ে যাচ্ছেন সেখানে বঙ্গ বিজেপি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঝড় তোলা ছাড়া কিছুই করে উঠতে পারেনি। রাহুল সিনহা পর্যন্তও রাজ্য বিজেপির ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।


প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের কথায়, “যেমন আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি”। তবে এই ঘুমিয়ে থাকা মনোভাবের পরিবর্তন কড়ে শীঘ্রই পথে নামাবে বিজেপি, প্রত্যয়ী রাহুল সিনহা।  


আরও পড়ুন-আক্রান্ত কর্মীদের পাশে না দাঁড়িয়ে কলকাতায় সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতায় 'বিপ্লবী' সিপিএম


বিজেপি অন্দরের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বকুনির দায় নিতে চায়নি কোনও রাজ্য নেতৃত্বই। বঙ্গে বিজেপি ‘নাছোড়বান্দা’ মনোভাব আর জঙ্গি আন্দোলন সংগঠিত করতে কেন ব্যর্থ হল আর এর দায় কার, সেই প্রশ্নই তোলেন রাজ্যের সিংহভাগ নেতারা। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতাদের রাগ ভঞ্জনে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর  মহামিছিলের আয়োজন করেছে বঙ্গ বিজেপি।  এখন প্রশ্ন অমিত শাহ যেখানে বারংবার জঙ্গি আন্দোলনের কথা বলছেন সেখানে একটা-দুটো মহামিছিলে কি আদৌ চিড়ে ভিজবে! ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে এও বলছেন, বঙ্গ বিজেপি এই ধরনের মনোভাব নিয়ে চললে ২৩টা লোকসভা তো দূর, ২৩টা বুথে জেতাও তাঁদের কাছে দুঃসহ হয়ে উঠবে।